এম মহাসিন মিয়া, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় মরণব্যাধি তামাকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার ঘোষনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তর।
সোমবার দুপুরে উপজেলার মাইনী নদীর তীরে মাইনী রির্সোট সংলগ্ন সড়কের পাশে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে তথ্য আপার সার্ব্বিক সহযোগীতায়
তামাক নিরুৎসাহিত কৃষক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শতাধিক তামাক চাষী অংশগ্রহন করেন। ক্যাম্পেইনে বলা হয় তামাক চাষীদের দেওয়া হবে না সরকারি প্রণোদনা, কৃষি সেবা ও কৃষকের কৃষি স্মার্ট কার্ড।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, কোন তামাক চাষীকে কোন ধরনের ভর্তুকি, সহযোগীতা ও কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হবে না। খুব শিগরই কৃষকের মাঝে স্মার্ট কৃষি কার্ড দেওয়া হবে। কোন তামাক চাষী কৃষি কার্ডের অন্তুভূক্ত হতে পারবে না। তবে যারা তামাক ছেড়ে অন্যান ফসল উৎপাদেনের সাথে জড়িত হবে তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ প্রণোদনা।
এ সময় তামাক চাষী মো. বোরহান বলেন, তামাক চাষ এ বছর ছেড়ে দিয়ে ভুট্টাচাষ করেছি। তামাক চাষ স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিবেশের জন্য মারাক্ত ক্ষতিকর। তামাকের কারনে গাছপালা কেটে তামাক পুড়াতে হয়। রয়েছে অগ্নিকান্ড ঝুকিঁ। তাছাড়া তামাক বিক্রি করতে গিয়ে কোন ধরনের দামাদামি করা যায় না। তাদের বেধে দেওয়া দরেই তামাক বিক্রি করতে হয়।
এদিকে তামাক চাষ ছেড়ে মৌসুমি ফসল চাষ করায় উপজেলা এবং কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক কৃষক মো. বোরহান উদ্দীনকে বিশেষ সম্মননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
তামাক নিরুৎসাহিত কৃষক ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন, দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাশেম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন ও দীঘিনালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হক।