আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে দলীয় প্রতীক ছাড়াই উপজেলা নির্বাচন করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আগামী মে মাস জুড়ে ৪ ধাপে দেশব্যাপি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তফসিল ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সম্ভাব্য তফসিলে প্রথম ধাপে ৪ মে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে বছর খানেক আগ থেকেই সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মীয়সহ নানা অনুষ্ঠানে উপস্থিতসহ সুখে-অসুখে মানুষের পাশে থেকে মাঠ গুছিয়ে নিয়েছেন অনেকে। সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকসহ সড়কে সড়কে ব্যানার, ফেস্টুনে চেয়ারম্যান হিসেবে আবারও জয়নাল আবেদীনের নাম প্রস্তাব করে নজর কাড়ছে সর্বত্র।
৪মে প্রথম ধাপের নির্বাচনে পার্বত্য খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৫৪ হাজারের অধিক ভোটার নিয়ে উপজেলা পরিষদ। ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই টার্ম উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. জয়নাল আবেদীন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর জনসেবার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পারিবারিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সবর ও দান, অনুদানে ছিলেন উদার। জনগণের পাশে থেকে সেবা ও বিপদে,আপদে মানুষের পাশে থেকে আবারও নির্বাচন করার জন্য মাঠ গুছিয়ে নিয়েছেন । তাঁর সাথে নির্বাচন করার মতো দল বা স্বতন্ত্র পর্যায়েও কারও পদচারণ জনপদে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি! তবে কারও কারও মতে তফসিল ঘোষণার পর নতুন প্রার্থীর দেখা মিলবে!
বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা দুইজনই আ.লীগ নেতা,নেত্রী। ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁরা দলীয় মনোনয়ন ও সমর্থনে বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানেরা জনসেবায় সম্পৃক্ত থাকলেও নতুন করে নির্বাচন করার মতো কোন সূর এখনও তাঁরা মাঠে ছড়ায়নি ।
অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে নির্বাচন করার পরিকল্পনায় মাঠে নেমেছেন সাবেক ছাত্র নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বর্তমান উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহেদুল আলম মাসুদ। রাজনৈতিক কর্মী ও সংগঠক হিসেবে মানুষের দ্বারে দ্বারে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক ছাত্র নেতা মো. সামায়উন ফরাজী সামু। নতুন করে মাঠে সূর উঠিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতা ও সংবাদকর্মী মো. মোক্তাদির হোসেন। অন্যদিকে সনাতন সমাজ কল্যাণ পরিষদ থেকে উপজেলা সনাতন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী চিকিৎসক অমর কান্তি দত্তের নাম এবং ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক চলাপ্রু মারমা নিলয়ের নাম সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে ! তবে এখনও মুখ খুলছেন না তারা কেউ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন ৪র্থ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাহেলা আক্তার। তিনি সাবেক সফল ইউপি চেয়ারম্যান এম.কে.আজাদের সহধর্মিণী। এই পদে এখন পর্যন্ত দৃশ্যায়িত কোন কাজে আর কাউকে দেখা যায়নি। তবে দলীয় সমর্থন পেলে নির্বাচন করবেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ডলি চৌধুরানী।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মো. আতিউল ইসলাম বলেন, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে গত এক বছর ধরে মাঠ, ঘাট, পাড়া, মহল্লার নানা অনুষ্ঠানে সবর উপস্থিতি ও দান,অনুদানে মাঠ প্রস্তুত করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন। তাঁর জনপ্রিয়তা এখন শীর্ষে। দলের অন্য কেউ নির্বাচন করতে চাইলেও জনপ্রিয়তায় বর্তমান চেয়ারম্যানের দ্বারে, কাছেও আসা সম্ভব হবে না। ফলে এবারও তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন! এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সুর মাঠে ছাড়ছেন অনেকে। শেষমেষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন জমে উঠবে।