খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে প্রতি বর্ষার ন্যায় সামান্য বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মহালছড়ি সরকারি কলেজ ও মহালছড়ি সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। মহালছড়ি সরকারী কলেজের চলাচলের একমাত্র সড়ক সামান্য বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে যায়।
গতকাল ২৪ জুলাই রোজ শনিবার দুপুর ১.৩০টার দিকে মহালছড়ি সরকারি কলেজে গিয়ে দেখা যায় যে, এ ঢলের কারণে প্রতিনিয়ত বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাবুল কাদের স্মৃতিস্তম্ভের এলাকা হতে মহালছড়ি সরকারি কলেজ পর্যন্ত প্লাবিত হয়। ফলে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি- মহালছড়ি সদরের সাথে সকল যানবাহন চলাচল ২-৩ ঘন্টা বন্ধ থাকে। এ সময় যানবাহনসহ পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
মহালছড়ি সরকারী কলেজ এর অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম চৌধুরী একমাত্র খাল খনন না হওয়াকে দায়ী করে বলেন, পার্শ্ববর্তী ছড়াটি(খালটি) খনন না করায় ২০১৫ সাল হইতে বর্তমান পর্যন্ত এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই কলেজের আসবাবপত্র, কক্ষের ফ্লোরসহ একাডেমিক ভবনের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। ছড়াটি(খাল) খননের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্ত আজ অবধি খাল খনন করার কোন লক্ষন দেখতে পাচ্ছিনা। তিনি আরো বলেন যে, উক্ত ছড়াটি খনন না হওয়া পর্যন্ত এর ভোগান্তি শেষ হবে না।
এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে খাল খননের জন্য গত বছর পরিদর্শনে এসেছিলেন এবং অতি দ্রুত খাল খননের কাজ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্ত এরপর থেকেই আজ অবধি কোন সাড়া পাওয়া যায় নি। তিনি আরো বলেন, নিজ উদ্যেগে যতটুকু সম্ভব খালের উপড় পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেছি। সবটুকুতো আর তাঁর একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান।
এ বিষয়ে যানবাহন চলাচলকারী মহালছড়ি টু চট্টগ্রাম যাতায়াত কারী বাস কাউন্টারের লাইনম্যান হারাধন বণিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অতি আক্ষেপের সহিত বলেন প্রতি বর্ষা মৌসুমে কলেজ মোড়ে বৃষ্টির ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাস্তাটি ২/৩ ঘন্টা ডুবে থাকে,যা যান চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটে থাকে এমনকি এলাকাবাসীসহ সকল যাত্রীর পক্ষে বিরক্তিকর বিষয়। এই বিষয়টি আশু সমাধানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকৌশলীসহ নেতৃবৃন্দের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং সাংবাদিকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করেন বিষয়টি লেখালেখি করার জন্যে।
স্থানীয় এক পথচারী কান্তি মারমা বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পথচারী ও স্থানীয় জনসাধারণের এ ভোগান্তি পোহাতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যাক্তিরা পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলেও আজ অবধি কোন সুফল পাওয়া যায় নি।