মাসুদ রানা (ঢাকা)
দেশে চলমান প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে সচিবদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে প্রকল্পে জনগণ উপকৃত হবে, সেদিকে মনযোগী হতে হবে। মানুষকে দেখানোর জন্য যেন কোনো প্রকল্প না নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সচিবদের আত্মপ্রত্যয়, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিব সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
তিনি জানান, নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে সচিব সভা হয় না। যেহেতু সরকার নতুন, তাই প্রত্যাশার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে খুবই সতর্ক হতে বলেছেন। তার মূল লক্ষ্য হলো জনমানুষের অবস্থানের উন্নয়ন। কাজেই প্রকল্প থেকে জনমানুষের উন্নয়ন হয়েছে কি না, সেটা তিনি জানতে চাইবেন। কাজেই নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি দেখতে বলেছেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারি করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্রের কথাও তিনি বলেছেন। অনেক সময় দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে। নিউজ আসে। এক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এটি যাতে কোথাও না হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইশতেহার বাস্তবায়ন আগামী পাঁচ বছরের মূল দলিল। যে ১১ অগ্রাধিকার কার্যক্রম তা ম্যাপিং করতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। বাৎসরিক ভিত্তিতে তা মনিটরিং করার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সভায় সব সচিব উপস্থিত ছিলেন। সচিব পদমর্যাদায় অন্য দপ্তরের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারাও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাশার কথা ও তার নির্দেশনা আমরা শুনতে চেয়েছি।
সংসদ কার্যক্রমে সবার সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেদিন যে বিষয় থাকবে সেদিন সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় সব মন্ত্রী, সচিবদের সামগ্রিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা সফল হয়েছে।
বৈঠকে ১১ সচিবের উপস্থাপনায় যা ছিল
১)ইশতেহার বাস্তবায়ন
২)দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আসন্ন রমজানের নিয়ে আলোচনা
৩)আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি
বিদুৎ-জ্বালানি
৪)কর্মমুখী শিক্ষা
৫)চলমান প্রকল্প দ্রুত শেষ করা
৬)মুদ্রাস্ফীতি যেন জিডিপি গ্রোথের নিচে থাকে
৭)কর আদায়ে পরিধি বাড়ানো
৮)বৈদেশিক বিনিয়োগ আসক্ত করার ওপর জোর
৯)আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও বাজার মনিটরিং বিষয়, চাঁদাবাজী যেন না হয়
১০)পাট, কৃষি ,চামড়া রফতানির ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা
১১)রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন বাজার খোঁজার ওপর জোর
১২)খাদ্য উৎপাদনে জোর, বিদুৎ, জ্বালানি অপচর রোধ
১৩)কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ বাড়ানোর ওপর জোর
১৪)উপজেলা পর্যায়ে বইমেলা করার নির্দেশ
১৫)শূন্যপদ পূরনের উদ্যোগ
পদন্নতি জটিলতা কাটানো
১৬)তিন ফসলী জমি, জলাধার নষ্ট না করতে নির্দেশ
১৭)পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্ব
১৮)দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স, কেবল দুদক নয় প্রতিটি মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে
১৯)নতুন শিক্ষাক্রমটা প্রচলিত নয়, কোনো ভুল থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে প্রকল্প শুরুর নির্দেশ