মোঃ সালাউদ্দিন:- গত ১৭ জানুয়ারি বাদী মোঃ বাচ্চু মিয়া, মানিকছড়ি থানায় এসে উপস্থিত হয়ে জানায় যে, বাদী পেশায় একজন কৃষক তার ছোট মেয়ে বড়ডলু উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর একজন ছাত্রী,প্রতিদিনের ন্যায় গত ০৪/০১/২৪ইং তারিখে সকাল ০৯.১৫ ঘটিকার সময় তার নিজ বাড়ী থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
অতঃপর প্রতিদিনের ন্যায় বাদীর মেয়ে বিকালে বাড়ী ফেরার কথা থাকলেও ঘটনার দিনে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও ভিকটিম বাড়ী না ফিরলে বাদী সহ বাদীর পরিবার ও আত্নীয় স্বজন আশে পাশেসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে ভিকটিম কে না পেয়ে পরবর্তীতে গত ১৭/০১/২০২৪ ইং তারিখে ভিকটিমের বাবা মোঃ বাচ্চু মিয়া,মানিকছড়ি থানার শরণাপন্ন হন।
উক্ত ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ঘটনার স্পর্শকাতরতা উপলব্ধি করে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর নেতৃর্ত্বে ও সুদক্ষ দিক—নির্দেশনায় খাগড়াছড়ি জেলার একাধিক চৌকস দল ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করেন।
অনুসন্ধানকালে ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক ও সনাতন পদ্ধতিতে প্রাপ্ত তথ্য সমুহকে তথ্য—প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্লেষন পূর্বক নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ভিকটিম কে আসামী ১) মোঃ মনির হোসেন (২৪), পিতা— সুলতান মিয়া, মাতা— মোছাঃ জাহানারা বেগম, সাং— তিনটহরী মাদ্রাসাপাড়া, ৪৯২ দক্ষিণপাড়া, ০৩নং ওয়ার্ড, ০৪নং তিনটহরী ইউপি, থানা—মানিকছড়ি, জেলা—খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ভিকটিমকে স্কুল থেকে ফেরার পথে ভয়—ভীতি প্রদর্শন করে জোর পুর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে খাগড়াছাড়ি জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খাগড়াছাড়ি জেলার একটি চৌকস দল দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উক্ত ক্লুলেস ঘটনার মুল আসামী ১) মোঃ মনির হোসেনকে সুনামগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীর দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিম কে উদ্ধার করা হয়।
আসামীকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।