চট্টগ্রামের দক্ষিণ জেলা কক্সবাজারে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত সাধারন মানুষের জীবন। নিতান্ত প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা সাধারন মানুষের দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষেরা।
সরেজমিন উপজেলার ছোট মহেশখালী থেকে কুতুবজোম আসার পথে প্রধানসড়কে সিএনজি ও টমটম যানবাহন গুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করতে দেখা যায়। এদিকে হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, শনিবার কক্সবাজার জেলায় সকাল ৬ টায় টায় সর্বউচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি থেকে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৮০ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, আজ শনিবার কক্সবাজারে সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৮০ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গা ও নিকলীতে। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এ ছাড়াও জানুয়ারি মাসে কক্সবাজার জেলার পাশ্ববর্তী উপজেলা ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
ইজিবাইক চালক নাছির উদ্দীন বলেন, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না। এখন বেলা বারটা বাজে অথচ এক’শ টাকাও ভাড়া মারতে পারিনি। শীতের করনে আয় রোজগার কম। অগের তুলনায় এখন অর্ধেক টাকাও আয় হয় না। কষ্ট করে পরিবার নিয়ে দিন চলছে।
মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ আজমল হুদা (আরএমও) জানান, হাসপাতাল গুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা লাগানো একেবারেই যাবে না। পাশাপাশি গরম পানি খাওয়া ও গরম কাপড় পরিধান করতে হবে।খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।