আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
শুক্রবার সূর্যের দেখা না মেলায় কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় অনেকটা স্থবির থাকলেও গতকাল কনকনে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই নিন্ম আয়ের মানুষ খেত-খামার ও বিলে কর্মযজ্ঞে নেমেছে।
বোরো ও রবি শস্যে কুয়াশার ছোবলে শংকিত কৃষক।
কৃষিনির্ভর জনপদ মানিকছড়ি উপজেলায় বোরো ও রবি শস্যের মৌসুমে শীতের আগমনী বার্তায় কনকনে শীতের মাঝে ঘন কুয়াশায় হওয়ায় বোরো ও রবি চাষিরা বীজতলার চারা ও রবি ফসল নিয়ে কিছুটা চিন্তিত! অনেক বীজতলায় চারার বয়স কম হওয়ায় পুরোদমে বোরো চাষ শুরু হয়নি। এরই মধ্যে ঘন কুয়াশা নামায় বীজতলার চারা শংকিত কৃষক। অন্যদিকে রবি ফসল মুলা, টমেটো, বেগুন, গাজর, ফুল ও পাতা কপি চাষিরা ঘন কুয়াশায় ছোবল নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। বড়বিলের সফল চাষি আবদুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেচ সুবিধায় এবার ১২০ শতক জমিতে রবি শস্যের বাম্পার ফলন পেয়েছি।
সবজির বাজারও ভালো, কুয়াশার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারলে লাভবান হব। একই এলাকার উদীয়মান সংবাদকর্মী চিংওয়ামং মারমা মিন্টু জানান, এন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ) সহযোগিতা নিরাপদ উপায় ৪০ শতক জমিতে রেড ক্যাবেজ,বারি বেগুন১২,বিদেশী জাতের স্কোয়াশ শসা চাষ করেছি। বর্তমানে বাজারে আসা শাকসবজিতে প্রচুর পরিমান রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়! নিরাপদ খাদ্যের চিন্তা করতে হলে, নিরাপদ উপায়ে চাষাবাদ করতে হবে, আমি সবজি বাগানে জৈব সার, পঁচা গোবর,বেশি পরিমানে প্রয়োগ, বালাই নাশক বলতে কীটনাশক হিসাবে ফেরোমন সেক্স,হলুদ ফাদ ব্যবহারের ফলে তেমন কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি।
বর্তমান যুগে নিরাপদ উপায়ে খাদ্য উৎপাদন করতে হলে শিক্ষিতরাই কৃষিতে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ আমাদের দেশে অনেক কৃষক জানেন না কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রা, দোকানিদের পরামর্শে অথবা নিজের মতো করে ব্যবহার করছে এবং কীটনাশক ব্যবহারের কতদিন পর ফসল খেতে পারবে অনেকে তাও জানে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, টানা কুয়াশা না হলে রবি শস্য ও বোরো বীজতলার কোন ক্ষতি হবে না। আশা করি কুয়াশা কেটে যাবে। শংকিত হওয়ার কিছু নেই।