আরিফুর রহমান স্বপন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই গড়বে আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ। দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ২০৪১ ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে শিক্ষার্থীদেরকে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। শুধু লেখাপড়া করলে হবে না, শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
সোমবার সকালে কুমিল্লার লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের নবনির্বিত ভবন, কলেজ ছাত্রাবাসসহ লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে দুপুরে লাকসাম পশ্চিমগাঁওয়ে নওয়াব ফয়জু্ন্নেছা চৌধুরানীর জমিদার বাড়ি জাদুঘরের শুভ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজে’র সভাপতিত্বে ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুুুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ, জাতীয় জাদুঘরের পরিচালক মো: কামরুজ্জামান, শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান, ওয়াকফ প্রশাসক গিয়াস উদ্দিন, লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভুঁইয়া।
লাকসাম-মনোহরগঞ্জে বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জকে এক সময় জলাঞ্চল হিসেবে অবহেলার চোখে দেখা হতো। এখন সবখানে পাকা সড়ক হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরির ফলে উপজেলাগুলো আজ শহরাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এ সরকারের আমলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা জাদুঘর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, লাকসামের এই নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ছিলেন উপমহাদেশের প্রথম নারী নওয়াব। নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে বেগম রোকেয়ার জন্মের সাত বছর আগেই তিনি নারীদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী চারটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। ওই সময় তিনি রূপজালাল নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। ধার্মিক ও দানশীল হিসেবে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ছিলেন বিশ্বের কাছে পরিচিত মুখ। তাঁর জমিদারি আমলে তিনি স্কুল, মাদ্রাসা, পুল কালভার্ট, হাসপাতাল, এতিমখানা, মক্কায় মুসাফিরখানাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া জমিদার বাড়িটি আজ জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মতো নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী জাদুঘরটিও মানুষ দেখতে আসবে। এখান থেকে আগামী প্রজন্ম অনেক কিছু শিখতে পারবে।