• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কাটিং টিলায় সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সভায় দলমত নির্বিশেষে গ্রামবাসীর অংশগ্রহণ খাগড়াছড়ি রাস মহোৎসব পরিদর্শন করলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার শরীফ মোহাম্মদ আমান হাসান স্বপে পাওয়া ঔষধ নিতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় ! লংগদুতে উপজেলা বিএনপি,র, বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির রাস মহাউৎসব পরিদর্শন ও আর্থিক উপহার প্রদান দৌলতদিয়া পোড়াভিটায় পুলিশের অভিযানে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার মোল্লাহাটে নকল বিড়ি তৈরির চৌচল্লিশ বস্তা তামাক ও সরঞ্জাম জব্দ চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের অভিযানে ৩০ লিটার দেশীয় তৈরী চোলাইমদ আটক,-২ সিএনজি জব্দ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সর্বশেষ শহীদ আব্দুল্লাহ এর গায়েবানা জানাজা রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত মাটিরাঙ্গায় জোন কমান্ডারস কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গুইমারা ইউনিয়ন একাদশ মহালছড়ি উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট কমিটি গঠন পান চাষে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা যাচ্ছে বিভিন্ন শহরে

মাটিরাঙ্গাতে লাল পিঁপড়ার ডিম বিক্রি করে চলে প্রায় শতাধিক মানুষের সংসার

মো: আরিফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি : / ২৬১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৩

মো: আরিফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি :

বেঁচে থাকার জন্য কত বিচিত্র কাজই না করতে হয় মানুষকে। এরকমই ব্যতিক্রম এক পেশা লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করা। আর এ পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহের পেশা থেকেই দুবেলা দুমুঠো খাবারের জোগাড় করছেন প্রায় শতাধিক মানুষ।

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে ঘুরে ঘুরে গোমতী ইউনিয় এর ৩নং ওয়ার্ড রঙমিয়া পাড়া সহ স্থানীয় শতাধিক মানুষ প্রায় একযুগ ধরে লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে তা মাছ শিকারিদের নিকট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

বন জঙ্গলে কিংবা লোকালয়ে বিভিন্ন গাছ থেকে তারা সংগ্রহ করেন এ-সব পিঁপড়ার ডিম। তাও আবার লাল পিঁপড়ার ডিম। মাছ শিকারিদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হচ্ছে লাল পিঁপড়ার ডিম। এসব ডিম সংগ্রহের পর তা বিক্রি করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়েই চলে তাদের সংসার।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) উপজেলার আঁকাবাকা পাহাড়ি মেঠোপথ ধরে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায় লাল পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কঠোর কর্মযজ্ঞ।

লাল পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা হাতে-হাতে লম্বা বাঁশ ও বাঁশের তৈরি ঝুড়ি নিয়ে প্রতিদিন সকাল হলেই বেরিয়ে পড়ে উপজেলার দূর দূরান্তের বিভিন্ন পাহাড়,পর্বত, বন- জঙ্গলে। সারাদিন লাল পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ করে তারা। এই ডিম বিক্রি করেই চলে তাদের জীবন জীবিকা ।

ডিম সংগ্রহকারী মো: জসীম উদ্দিন বলেন, পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজটি খুব সতর্কতার সাথে করতে হয়। কৃষিকাজের পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে একাজ বেছে নিয়েছি। সারাদিনে তিনি এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে পাইকারি দামে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন তারা। আর পিঁপড়ের ডিম বিক্রি করে যা টাকা পায় তাতেই চলে তাঁদের সংসার। সাধারণত মেহগনি, আম, লিচু, কনক ও কড়াইসহ দেশীয় গাছগুলোতে লাল পিঁপড়ার বাসা পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।

লাল পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে পাইকারি দামে এসব ডিম ক্রয় করেন স্থানীয় তিন ব্যবসায়ী। তারা হলেন একই এলাকার মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, মো: জাকির মিয়া ও মো: মনির হোসেন। তারা জানান, প্রায় ১যুগ ধরে লাল পিঁপড়ের ডিম সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে ডিম কিনে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন তারা। তাদের তিনজনের অধীনে প্রায় শতাধিক মানুষ বিচিত্র এ কর্মসংস্থান তৈরি করে নিয়েছে।মূলত মাছের খামারি ও সৌখিন মাছ শিকারীরা এই ডিম কিনে থাকেন। চট্টগ্রামে লাল পিঁপড়ের ডিমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

মো. জাকির হোসেন নামে অপর ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন ১৮/২০জন তাকে পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করে দেন। ২/৩ দিন পরপর চট্টগ্রাম, ফেনী ও কুমিল্লা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে তাঁর কাছ থেকে ডিম কিনে নিয়ে যান।

একসময় এ পেশায় লোকজন কম ছিল বলে তখন প্রচুর ডিম পাওয়া যেত। এ পেশায় লোকজন বাড়লেও নির্বিচারে দেশীয় গাছ কাটার কারণে পিঁপড়ার বাসা কমে গেছে। নির্বিচারে দেশী গাছ কাটা বন্ধের দাবী জানিয়েছে বিচিত্র পেশার মানুষগুলো।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ