খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মো. শহীদুল ইসলাম সোহাগ, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিমেল চাকমা ও যুবলীগ নেতা সুমন দে এর উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার পলাশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার দাবীতে রাত ৮টার দিকে মাটিরাঙ্গা বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবলীগ।
প্রতিবাদ মিছিল চলাকালে উত্তেজিত যুবলীগ কর্মীরা মাটিরাঙ্গা পুরাতন হাসপাতাল মোড়ে বিএনপি অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় বিক্ষুব্ধরা বিএনপি অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ।
হামলার শিকার মাটিরাঙ্গা পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মো. শহীদুল ইসলাম সোহাগ জানান, সন্ধ্যার দিকে
৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিমেল চাকমা ও যুবলীগ নেতা সুমন দে সহ আমবাগান নিজের বাগান থেকে ফেরার পথে পলাশপুর এলাকায় পৌছলে কতিপয় দৃর্বৃত্তরা তাদের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে তাদের উপর হামলা চালায়।
গুরতর আহত তিন যুবলীগ নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিল্টন ত্রিপুরা।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক বদিউল আলম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে।
এদিকে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরকে নাটক দাবি করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা বলেন, তথাকথিত দেশ বিরোধী অবরোধে জনগণের সাড়া না পেয়ে নিজেরাই তাদের দলীয় কার্যালয় নিজেরাই ভাঙচুর করে আওয়ামীলীগের উপর দায় চাপিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উস্কানি দিচ্ছে বিএনপি।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। যুবলীগের মিছিলের খবর পেয়ে তিনি ছুটে যান। মিছিল শেষে যুবলীগ কর্মীরা চলে গেলে কে বা কারা ভাঙচুর করেছে এ বিষয়ে কিছু জানেননা তিনি।