• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল বেলকুচি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজকে গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভুমিকা রাথতে হবে -বাবুল দাস কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত কাপ্তাই বিএসপিআই শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা, ৪ জন আহত এম কে বাঘাবাড়ী ঘি কোম্পানির উৎপাদনকারী মো: কামাল উদ্দিনের ১ বছরের কারাদণ্ড কোটা সংস্কারের দাবিতে  কাপ্তাই বিএসপিআই এ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল দিনেদুপুরে কৃষকের বাড়িতে হামলা লুটপাট রাঙামাটি সদর জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক মানবিক সহায়তা প্রদান পানছড়ি মাদ্রাসায় অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খাগড়াছড়িতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকার সাভারে বিএনপির ৪০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

শাহীন আহমেদ রাজ, সাভার / ২০৫ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

শাহীন আহমেদ রাজ,সাভার উপজেলা প্রতিনিধি

রাজধানী ঢাকার সাভারে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টম্বর) রাতে সাভার মডেল থানায় করা এ মামলায় বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এরপর গতকাল শুক্রবার রাতে এ মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

মামলার এজাহারে পুলিশ অভিযোগ করেছে, বৃহস্পতিবার আমিনবাজারে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা জেলা বিএনপির সমাবেশ শেষে ফেরার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, এসব গায়েবি মামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিএনপির যৌক্তিক আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে মাত্র।

মামলার পর গতকাল দিবাগত রাতে সাভারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মো. আক্তার হোসেন কবিরাজ (৫২), উয়ালিউল্লাহ ওয়ালিদ (৩৭), মো. সজীব হোসেন (৩৪) ও ওসমান গনিকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। তাঁদের মধ্যে আক্তার হোসেন কবিরাজ সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ওসমান গনি ভাকুর্তা ইউনিয়ন তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিবারকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, ঢাকা জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি খন্দকার মাইনুল হাসান খান, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-*সভাপতি কফিল উদ্দিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুদ্দিন, সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামানসহ ৪০ জন এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে সাভারের আমিনবাজারে মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ঢাকা জেলা বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি দল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমিনবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিল। বিকেলে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সাভারের হেমায়েতপুরে তানিন প্লাস্টিক চেয়ার কারখানার গোডাউনের সামনের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও চলন্ত গাড়ি ভাঙচুর করেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশের ওই দল বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে ঘটনার জন্য দায়ী হিসেবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের চিহ্নিত করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি কালো রঙের শপিং ব্যাগে পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল, তিনটি বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা, নয়টি কাচের টুকরা ও বিএনপির এক দফা দাবিসংবলিত ব্যানার জব্দ করা হয়। পরে ওই দিন রাতেই পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল জলিল মণ্ডল বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী ও সাভার মডেল থানার এসআই মো. আব্দুল জলিল বলেন, আমিনবাজারে বিএনপির সমাবেশ থেকে ফেরার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হেমায়েতপুরে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। ঘটানাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা, অবিস্ফোরিত ককটেল এবং ভাঙা কাচের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলের অদূরে ভাই ভাই ভল্কানাইজিং দোকানের মালিক মো. আলম বলেন, ‘ওই দিন আমরা দোকানের ভেতরে বসা ছিলাম। পরপর তিনটি শব্দ শুনতে পাই। আমরা ভেবেছি, বিয়ের অনুষ্ঠানের পটকা ফোটানোর শব্দ। পরে পুলিশ আসল। তারা একটা বালতি আর পানি লাগবে বলে জানায়। আমিসহ দোকানের ছেলেটা বালতি আর পানি নিয়ে ওখানে (ঘটনাস্থলে) যাই। সেখানে গাড়ির কাচ বা এমন কিছু ছিল না। কেবল বিএনপির একটা পোস্টার ছিল, আর পাঁচটা জিনিস ছিল। সেগুলো ককটেল কি না, বলতে পারব না। আমরা উঠাইয়া ওইগুলা বালতির মধ্যে দিছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করা আবুল কালাম আসাদ বলেন, ‘ওই দিন আমি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলাম। দেখি, হেমায়েতপুরে তানিন প্লাস্টিক চেয়ার কারখানার গোডাউনের সামনে শতাধিক লোক ব্যানার নিয়ে যাচ্ছিল। ওইখানে দুই-তিনটা ককটেল ফোটাইছে। আমি থামার কতক্ষণ পরই পুলিশ আসলে তারা দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। গাড়ি ভাঙচুর করছে কি না, আমি দেখি নাই।’

ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা তো ওই এলাকাতেই (হেমায়েতপুর) যাইনি। অযথাই এ মামলা দেওয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতেই এ মামলা দেওয়া হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বিস্ফোরক আইনে করা এই মামলায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ