নাটোরের লালপুরে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল জমা দেওয়া কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায়, সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ জন।৩ দলিল লেখককে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে ।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মোল্লা, ফারুক হোসেন ও আব্দুল হক। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাতে লালপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত অভিযোগকারী সাইফুল ইসলাম মোল্লা ও সাধারণ দলিল লেখকরা জানান, সভাপতির নিদের্শক্রমে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের গেটে ৪০ জন স্বাক্ষরিত দলিল লেখকের দলিল, সরকারি
রাজস্ব ফি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংক চালিন সহ দলিল লেখক গনদের সঙ্গে নিয়ে একটি ব্যাগে করে সাব রেজিস্ট্রি অফসে ঢুকতে গেলে দলিল আগে থেকে পরিকল্পিত ভাবে লেখক কামরুজ্জামান লাভলুর নের্তৃত্বে, তার ছেলে হাসান, সাজদার, বিপ্লব, রিংকুসহ কয়েকজন বহিরাগত বাধা দেয় এবং কোন প্রকার দলিল করতে দেওয়া হবে না। বিবাদীরা অকথ্য ভাষায় কালিগালাজ করে বলে যে এখান থেকে চলে যা না হলে এখনি তোদের সায়েস্তা করা হবে। তখন দলিল লেখক আশরাফুর ইসলাম দলিল সার্বমিট করা জন্য উপরে উঠার চেষ্টা করলে তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। এ সময় অফিসের মোহরার রিপন ওরেফে কপিষ্ট রিপন অফিসের গেট বন্ধ করে দেয়।সাইফুলের ব্যাগে থাকা লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংকের চালিনসহ দলিল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে, তাকে ও দলিল লেখক ফারুক হোসেন, হক কে এলোপাথাড়ি মারপিট,কিল,ঘুসি মেরে আহত করে ও জামা কাপড় ছিড়ে দেয় এবং সাইফুলের পকেটে থাকা দলিলের ট্রেজারির ৫৫০০০ হাজার টাকা ও ফারুকের পকেটে থাকা রেজিস্ট্রির ২৫০০০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
এসময় অন্যান্য দলিল লেখক ও দলিল করতে আসা সাধারণ জনগণের উপস্থিত টের পেয়ে বিবাদীগণ ঘটনা স্থল থেকে চলে যায়। পরে এসে তাদের উদ্ধর করে।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মাসুদ রানা জানান, বিষয়টি শুনেছি, তবে ঘটনার সময় আমি এজলাসে ছিলাম, এমন ঘটনা গ্রহযোগ্য নয়।
এবিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) উজ্জল হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।