টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গণপিটুনি খাওয়া সেই হান্নানের (৩৫) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছে শিউলী আক্তার (২৮) নামে এক সন্তানের জননী।
প্রেমিক হান্নান উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের রায়ের-বাসালিয়া এলাকার বাসিন্দা লিয়াকত আলী’র ছেলে এবং প্রেমিকা শিউলী আক্তার একই এলাকার বাসিন্দা মৃত ইবাদত ওরফে ফালু খাঁ’র সেজ মেয়ে।
প্রেমিক হান্নান তার বাড়ির প্বার্শে রায়ের বাসালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিয়ন পদে চাকরি করে এবং প্রেমিকা শিউলী গোবিন্দসী ইউনিয়নের বাগবাড়ি বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় একটি টেইলার্সের দোকান পরিচালনা করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ওই নারী বিয়ের দাবিতে গত সোমবার (৭ জুন) সকালে প্রেমিক হান্নান (২৫) এর বাড়ীতে অবস্থান করে। পরে কৌশলে প্রেমিক হান্নান পালিয়ে যায়।
সরজমিনে গিয়ে আরও জানা যায়, বিগত ৪ বছর যাবৎ ফালু’র সেজ মেয়ে শিউলির সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে হান্নান। মেয়েটি মাঝে মধ্যে তার বাড়িতে যাতায়াত করতো সেখান থেকেই এই সম্পর্কের সুত্রপাত।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর যাবৎ শিউলীকে ধর্ষন করে আসছে। কিছুদিন যাওয়ার পর শিউলী বিয়ের চাপ দিলে প্রেমিক হান্নান বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় সে প্রেমিক হান্নান’র বাড়ীতে অনশন করেন।
এছাড়াও জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত প্রেমিক হান্নান রায়ের বাসালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গভীর রাতে সর্বনাশা ইয়াবা’র অভয়ারণ্য গড়ে তোলেন।
এ বিষয়ে প্রেমিকা শিউলী আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, সে বিগত চার বছর যাবৎ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে নানা অজুহাতের মাধ্যমে প্রায় ১২ লক্ষ্য টাকার অধিক অর্থ হাতিয়ে নেয়। এই টাকা গুলো আমি আমার বোন ও ভগ্নিপতি সহ বিভিন্ন আত্বীয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দেই।
যার কারণে আমি এখন বর্তমানে একদম নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমি সম্মানের সহিত হান্নানের বউ হিসেবে সংসার করতে চাই।
এ বিষয়ে হান্নানের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে, সে এলাকার বিভিন্ন মাতব্বর দের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন এবং কিছু নগদ অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, গত কিছুদিন পূর্বেও হান্নান একই এলাকার এক বিধবা মহিলার সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় হাতে-নাতে ধরা পরেন। পরে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে গনপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেয়। এবং প্রেমিকা শিউলী আক্তার বিগত ৯ বছর পুর্বে তালাকপ্রাপ্ত হয়। একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে তার।