ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়ার ৩ দিনের পর উদ্ধার নবজাতক আব্দুল্লাহ ও তার মা শাহিনা আক্তারকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়েছে।ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল হক আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে বিদায় জানান। এ সময় নবজাতক আব্দুল্লাহর জন্য খেলনাসহ দৈনিক ব্যবহারের কিছু উপহারসামগ্রী তুলে দেন তিনি।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদেরকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। তবে দুপুরে ছাড়পত্র পেলেও বেলা পৌনে তিনটার দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারা।
এ সময় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, চুরি হওয়ার পর বাচ্চাটি উদ্ধারের জন্য আমাদের হাসপাতালের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হয়েছে। মা এবং নবজাত সম্পূর্ণ সুস্থ থাকায় আজকে মা-সন্তানকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
শিশুটির মা শাহিনা আক্তার বলেন, বাচ্চা চুরি হওয়ার পর মনে করেছিলাম বাচ্চা ছাড়াই হাসপাতাল থেকে চলে যেতে হবে। তবে সেই বাচ্চা ফেরত পেয়েছি আর বাচ্চাসহ বাসায় যাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য যে কত আনন্দের, সেটা বলে বুঝাতে পারবো না।
এদিকে শিশুটির বাবা হিরণ মিয়া বলেন, হাসপাতালের পরিচালক, ডাক্তার, নার্সসহ সবার প্রতি আমরা অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। তারা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিয়েছেন, খোঁজখবর নিয়েছেন। বাচ্চা উদ্ধারের জন্য পুলিশ অনেক পরিশ্রম করেছে। আজ বাচ্চাসহ আমরা মিরপুর রূপনগরের বাসায় চলে যাচ্ছি।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালের আনসার সদস্যদের পক্ষ থেকে পিসি উজ্জল ব্যপারী শিশুটিসহ তার বাবা-মাকে প্রশাসনিক ভবনে বিদায়ী সংবর্ধনা জানান। শিশুটির জন্য তুলে দেন উপহার সামগ্রী।
এরআগে, ২৯ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় শিশু আব্দুল্লাহর। তবে জন্মের ৩ দিনের মাথায় ৩১ আগস্ট ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে চুরি হয় আব্দুল্লাহ। ঘটনার পর শাহবাগ থানায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আর তাদের সন্দেহভাজন চোর পাশের বেডে ভর্তি নুসরাত শম্পা নামে এক নারীকে নজরদারিতে রাখে পুলিশ। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে বাচ্চাটি উদ্ধার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় একই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা নুসরাত শম্পাসহ তার শাশুড়ি, স্বামী ও ননদকে।