আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী ও সমতল হওয়ায় এখানে প্রতিনিয়ত জায়গা,জমির মূল্য বাড়ছে। দামবৃদ্ধিকে পুঁজিকে দীর্ঘদিন ধরে তিনটহরী ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ভূমি জবরদখলে একটি সংঘবদ্ধ চক্র! এই চক্রের হাতে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলে কথা নেই। দখলদার আর্থিক বা সামাজিকভাবে অসহায় বা দুর্বল হলেই তার কপালে দুঃখ! উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়নের কুমারী বড়টিলার কাটাবন এলাকায় গত ১৮ বছর ধরে বাগ-বাগান সৃজন করে কেয়ারটেকার বসিয়ে ৫একর টিলা সাজিয়েছিলেন কাজল শীল নামক এক সনাতন ধর্মাবলম্বী সৌখিন ব্যক্তি। গত শনিবার সন্ধ্যা রাতে ওই এলাকার সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু এরশাদ, হাসেম, রোকেয়া ও হোসেন গংগেরা দলবল নিয়ে কেয়ারটেকার কংজ্য মারমা ও তার পরিবারকে মারধর এবং হুমকি প্রদান করে রাতের আধারে তাড়িয়ে দিয়ে দিব্য ওই সংখ্যালঘু কাজলের ঘর ও বাগ-বাগান জবরদখলে নিয়ে নেয় ভূমিদস্যুরা!
বিষয়টি জানতে ভূমি ও সৃজিত বাগানের মালিক এবং ফটিকছড়ি পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল শীল ২৭ আগস্ট সকালে জায়গায় আসলেও ভূমিদস্যুতের হুমকি,ধমকিতে বাগানে ঢুকতে পারেনি! পরে কাজল শীল বাধ্য হয়ে সন্ধ্যায় মানিকছড়ি থানা পুলিশের কাছে ভূমিদস্যু এরশাদ মিয়া , আবুল হাসেম, রোকেয়া বেগম, আবুল হোসেন, আলামিন মিস্ত্রী, ইউনুচ মিয়াসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে তিনটহরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কাজল শীল একজন শান্তশিষ্ট ও সামাজিক মানুষ। তার ভোগদখলীয় ও সৃজিত বাগানে রাতের আধারে একজন মহিলার পক্ষ হয়ে জবরদখল করার খবর পেয়েছি। তবে ঘটনা দুঃখজনক।কাজল শীলকে আইনের আশ্রয় নিতে চাওয়ায় আমি তাকে বারণ করিনি। কারণ এটি দীর্ঘ সময় ধরে কাজল শীল ওই জায়গায় বাগবাগান সৃজন করে কেয়ারটেকার বসিয়ে ভোগদখলে আছে।
থানায় অভিযোগের বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আনচারুল করিম বলেন, সংখ্যালঘু পরিবারের ভোগ-দখলীয় ও বাগ-বাগানসহ একটি জায়গা জবরদখলের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করার জন্য একজন দক্ষ উপ পরিদর্শককে(এস.আই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।