সাধন সাহা জয়, নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
নতুন জাতের ধান আবাদ বৃদ্ধি নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় অগ্রসরমান কৃষক, বিসিআইসি, বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে দিনব্যাপী মতবিনিময় সভায় উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার জনাব পরিমল চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তানভীর ফরহাদ শামীম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জনাব রফিকুল ইসলাম, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জনাব মামুনুর রশীদ, সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মো: জাহাঙ্গীর আলম লিটন। নবীনগর উপজেলায় বোরো মৌসুমে ১৮,০৪০ হেক্টর জমিতে বোরোধান আবাদ হয়। গতবছর ব্রিধান২৮ আবাদ হয় ৪০৮৮ হেক্টর জমিতে এবং ব্রিধান ২৯ আবাদ হয় ৪৯২৫ হেক্টর জমিতে। চিকন চাল এবং খেতে সুস্বাদু হিসেবে কৃষক পর্যায়ে গত দুই দশক ধরে দারুণ জনপ্রিয় এই দুটি জাত। বিশেষ করে হাওরে আগাম জাত হিসেবে ব্রিধান ২৮ খুবই জনপ্রিয় জাত। বীজতলা থেকে ধান কর্তন পর্যন্ত সময় লাগে ১৪০ দিন। কিন্তু গত চার বছর সারাদেশেই ব্রিধান ২৮ এবং ব্রিধান ২৯ আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। গত বোরো মৌসুমে ৪৫ হেক্টর জমি ব্লাষ্ট রোগের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অধিকাংশ জমির গড় ফলন উন্নত জাতের চেয়েও প্রতি ছয় থেকে আট মন কম হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, কৃষি বিজ্ঞানীরা ব্রিধান ২৮ এর বিকল্প হিসেবে ব্রিধান ৮৮ এবং ব্রিধান ৯৬ আবাদ করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। অন্যদিকে ব্রিধান ২৯ এর পরিবর্তে ব্রিধান ৮৯, ব্রিধান ৯২, বঙ্গবন্ধু ১০০, বিনাধান ২৫ আবাদ করতে আমরা কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে আসছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে তাই গড় ফলন বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সেজন্য পুরাতন জাত বাদ দিয়ে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সেলক্ষ্য সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/রনি