আরিফুর রহমান স্বপনঃ
লাকসামে মাদকদ্রব্য আইনে ১৫ মামলার আসামিসহ ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একশত টাকার একটি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।
লাকসাম থানার পুলিশ বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে
গ্রেপ্তারকৃতদের কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ এসব তথ্য জানান। ওসি বলেন, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাজঘাট বেপারি বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে রুবেল মিয়ার (৪০) বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি, চুরি ও অস্ত্রসহ ১৫টি মামলার সাজা পরোয়ানা রয়েছে এবং সে একজন পলাতক আসামি। অপরদিকে ছিনতাইকারী, সরকারি কর্মচারী ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বলপূর্বক চাঁদাবাজি চক্রের ৫ সদস্যা হলেন, একই এলাকার মৃত সৈয়দ আহমেদের ছেলে আহমেদ সাকিব (২৮), দিদার হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৬), আবুল খায়েরের ছেলে মোস্তফা কামাল (২৫), আক্কাস মিয়ার ছেলে রবিউল হোসেন রুবেল (৩১) ও আবদুল কাদেরের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম (২৭)। এরা সবাই পৌরসভার রাজঘাট বেপারি বাড়ির বাসিন্দা।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, লাকসাম উপজেলা পরিষদের সামনে বিসমিল্লাহ হাউজে বাসভাড়া নিয়ে থাকেন শান্তি মনি চাকমা। গত ৭ আগষ্ট রাতে চাঁদাবাজি চক্রের কয়েকজন তার বাসায় প্রবেশ করেন। এসময় ওই চক্রটি সরকারি কর্মচারী ও ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে শান্তি মনি চাকমাকে একাদিক মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে ওই চক্রটি। এসময় শান্তি মনি চাকমার কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার টাকা আদায় করে। বাকি টাকার জন্য চলতি মাসের ৮ তারিখ উল্লেখ করে একশত টাকার একটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জোর পৃর্বক স্বাক্ষর নেয় তারা। ভুক্তভোগী শান্তি মনি চাকমা চাঁদাবাজি চক্রের সদস্যদেরকে টাকা দিতে না পারায় তিনি (৯ আগষ্ট) বুধবার সকালে লাকসাম থানায় চাঁদাবাজি চক্রের ওই সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।