আব্দুল মান্নান, নিজস্ব প্রতিবেদক মানিকছড়ি:
টানা ও ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় নদী ভাঙ্গনের থাবায় ৩৩কেভি বিদ্যুৎ লাইন,সড়কে ভয়াল ভাঙ্গনের সৃষ্টিসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ঘেঁষা ঘর-বাড়ি মাটি চাপায় পড়তে শুরু করেছে। নদী ভাঙ্গনরোধে কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। অন্যদিকে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তের তথ্য পেতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিরাপদ আশ্রয়ে ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী।
গত ৬দিনের টানা ও ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের ঢালুতে গড়ে উঠা ঘর-বাড়িতে ইতোমধ্যে পাহাড় ধসে আংশিক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে । মহামুনি তালতলায় পাহাড়ের মাটি রেখে মারমার ঘরে পড়লেও সবাই সজাগ থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছেন অসহায় পরিবারের ৪জন সদস্য। এছাড়াও রাজপাড়া, মুসলিম পাড়াসহ পাহাড় ঘেঁষে থাকা সহস্রাধিক পরিবার এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে! তবে বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ কোন আশ্রয় কেন্দ্রে কেউ আসেনি বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা( পিআইও) মো. তহিদ উজ জামান নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন ভাঙ্গনে রাস্তার একাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে! মহামুনি হেডম্যান কার্যালয় সংলগ্ন খালে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন ঝুঁকিতে পড়ায় সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে বিদ্যুৎ বিভাগ! এ খবরে সরজমিন পরিদর্শন করেছেন সিন্দুকছড়ি ৩ ফিল্ড রেজিমেন্টে আর্টিলারীর জোন কমান্ডার সৈয়দ পারভেজ মোস্তফা পিএসসি জি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) রক্তিম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা। পরে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ও ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় অস্থায়ীভাবে খালের ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলার চার ইউনিয়নে ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র ও একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে দুর্যোগ বিষয়ে বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় আশ্রয় কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পাহাড়ের ঢালুতে থাকা লোকজন সরে আসার জন্য মাইকিং করাসহ মানুষের নিরাপত্তায় সকল প্রস্তুতি ও সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়ায় খালের ভাঙ্গনরোধে আপাতত স্বস্তি পাওয়া গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত বড় ধরনের কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।