• শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:০৯ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
মিলনপুর বন বিহারে পবিত্র শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালিত তিন পার্বত্যঞ্চলে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরোনা পরিবর্তে অস্থায়ী চেয়ারম্যানে নিয়োগ পেলেন শেফালিকা ত্রিপুরা খাগড়াছড়িতে নিয়োগবিধি সংশোধন সহ ৬ দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থাসন কর্মসূচি  সেনাবাহিনী কর্তৃক মানব কল্যাণে মানবিক সহায়তা প্রদান পার্বত্য উপদেষ্টার অপসারনসহ চার দফা দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন গোয়ালন্দে পবিত্র আশুরায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে শোক মিছিল রামগড়ে চোলাইমদ সহ পলাতক আসামী গ্রেফতার মহেশখালীতে উদোক্তা হিসেবে সম্মাননা পেলেন মানবিক ফয়সাল আমিন পদ্মার জেলেরা ভরা মৌসুমেও পাচ্ছে না  ইলিশ  ফিরছেন খালি হাতে মানিকছড়ি ডিসিপার্ক পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার গুইমারা উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যেগে পথসভা অনুষ্ঠিত

শ্রাবণের বৃষ্টি মানিকছড়ি’র প্রান্তিক কৃষকের কারও আর্শিবাদ কারও সর্বনাশ

আব্দুল মান্নান, নিজস্ব প্রতিবেদক মানিকছড়ি: / ২৭৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩

আব্দুল মান্নান, নিজস্ব প্রতিবেদক (মানিকছড়ি):

আমনের ভরা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় প্রান্তিক কৃষক জমিতে আমন চারা রোপন করতে পারছিল না। বীজতলায় আমন চারার বয়স বৃদ্ধিতে কৃষকেরা ছিল দুশ্চিন্তায়। অন্যদিকে বর্ষায় বৃষ্টি কম দেখে নীচু জমিতে অনেকে শাক-সবজি ও তরমুজ চাষ শুরু করেন। এমন অবস্থায় গত দুই দিন গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টি হওয়ায় এই বৃষ্টি কারও জন্য আর্শিবাদ আবার জন্য কারও সর্বনাশ ডেকে আনছে! খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার গোরখানা, ছদুরখীল ও যোগ্যাছোলা এলাকার ১০জন চাষি চলতি মৌসুমে মালচিং পদ্ধতিতে ১ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। প্রতিটি খেতে তরমুজের ফলন আসতে শুরু করেছে। ফলে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে তরমুজ চাষিদের!

উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের আছাদতলী এলাকার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. দিদারুল আলমের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, নিজ উদ্যোগে ২০ শতাংশ জমিতে আগাম মুলা, ২০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালিন তরমুজ ও ৪০ শতাংশ জমিতে কাঁকরোলের চাষ করেন তিনি। ভালো ফলনের আশায় ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে পরিচর্যাও করছিলেন। জমিগুলো নিচু হওয়ায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে এসব জমির ফসল। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক।
কৃষক দিদারুল আলম বলেন, ‘মুলা ও তরমুজ খেতের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন করেও বিফল। কিছুদিনের মধ্যেই তরমুজের ফলন আসা শুরু করতো। পানি জমে থাকায় গাছগুলো মারা যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি’!

এছাড়াও একই গোরখানার এলাকার খোরশেদ আলম ও শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজন তরমুজ ও মৌসুমি সবজি চাষিও ক্ষতি মুখে পড়েছেন। তবে দীর্ঘদিন পর এমন বৃষ্টি আমন চাষে বেশ উপকারে আসবে বলে জানান বৃষ্টি প্রত্যাশী আমন চাষিরা।
অন্যদিকে উপজেলার আমন চাষযোগ্য ২৯৮৬ হেক্টর জমির শত শত কৃষক পানির অভাবে আমন চাষে দেরি এবং বীজতলায় চারা রোপন অনুপযোগী হওয়ার আশংকায় শংকিত হয়ে পড়ছিল। এমন সময় প্রকৃতি যেন আমন চাষিদের জন্য আর্শিবাদ হয়ে নেমে আসে। দলবেঁধে কৃষক-কৃষাণীরা বীজতলা নেমে পড়ে। শুরু হয় জমি চাষ ও চারা রোপন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার নাথ বলেন, ‘চলমান বৃষ্টি আমন চাষিদের জন্য আশীর্বাদ। তবে বৃষ্টি চলতে থাকলে তরমুজনও মুলা চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন। তবে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন’।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, উপজেলায় চাষযোগ্য ৪২২৪ হেক্টর কৃষি জমির মধ্যে আমন চাষযোগ্য ২৯৮৬ হেক্টর জমির এক-তৃতীয়াংশ জমি সেচ সুবিধার বাইরে। ফলে এসব জমিতে এক,দুইবার চাষ দিয়ে রাখলেও পানির অভাবে এতদিন চারা রোপন করা যায়নি। এ নিয়ে প্রান্তিক কৃষক অস্বস্তি ও দুশ্চিন্তায় ছিল। অবশেষে বৃষ্টি প্রান্তিক কৃষকের জন্য আর্শিবাদ হয়ে নেমে আসায় আমন রোপনে সবার ব্যতি-ব্যস্থতা বাড়ছে এবং প্রান্তিক কৃষকের মনে অন্তত স্বস্তি ফিরে এসেছে।অন্যদিকে নীচু জমিতে সৃজিত শাক-সবজি খেতে জমা পানি দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ