• শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১১:১৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
মহালছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির মানবিক উদ্দ্যোগ, ঈদ উপকরণ হিসেবে গরুর মাংস বিতরণ ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে পানছড়িতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে মহাপরিচালকের উপহার সামগ্রী বিতরণ। মহালছড়িতে পালিত হয়েছে বিশ্ব তামাক দিবস ২০২৫ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত: পানছড়িতে সেনাবাহিনীর ঈদ উপহার বিতরণ পানছড়িতে দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানে ছাগল ও শুকর বিতরণ দৌলতদিয়া পোড়াভিটা থেকে মাদক সেবী ও মাদক কারবারি আটক নানিয়ারচরে বিআরডিবির দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ গোয়ালন্দে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালিত খাগড়াছড়িতে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফ (চাউল) বিতরণ মহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা মানিকছড়িতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত পাহাড়ের পাদদেশে থাকা পরিবারকে সরে যাওয়ার নির্দেশ লামায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৬০টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

জুড়ীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয়

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার: / ২৮০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক ৬১৪ জন এসএসসি’তে ও দাখিলে ২৫৮ এবং ভোকেশনালে ৯ জন সহ মোট ৮৮১ জন শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ করায় ফলাফল বিপর্যয়ে অভিভাবক ও সচেতন মহলের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করে আগামীতে ভালো ফলাফলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, জুড়ীতে চলতি বছরে ১৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ১৯১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১২৯৭ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৭.৮৭%। ৩৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেলেও এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ৬১৪ জন শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ করেছে। এদিকে দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে আরো চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এবছর উপজেলার আটটি মাদ্রাসা থেকে ৪১৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে মাত্র ১৬০ জন। পাশের হার ৩৮.২৭%। কোন শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে জিপিএ-৫ না পাওয়া ও ২৫৮ জন শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ করায় মাদ্রাসার অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তবে এসএসসি ও দাখিলের ফলাফলে বিপর্যয় ঘটলেও ভোকেশনালে ভালো ফলাফল অর্জন করে। ভোকেশনালে জায়ফরনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫১ জন। পাশের হার ৮৫% এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১১ জন শিক্ষার্থী।

শতকরা ফলাফলে উপজেলায় সেরা হয়েছে হাজী সোনা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ৪৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৪৪ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯৫.৬৫ এবং সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে কচুরগুল উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ৬৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ২৫ জন পাশ করেছে। তাদের পাশের হার ৩৬.৭৬। এছাড়া জুড়ী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১০ জন অংশ নিয়ে ১৭৯ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৮৫.২৪%, জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৮ জন। মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৬৭ জন অংশ নিয়ে ১০৯ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৬৫.২৭%, জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৮ জন‌। জায়ফরনগর উচ্চ বিদ্যালয় ১৮৩ জন অংশ নিয়ে ১৩৮ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৭৫.৪১, জিপিএ ফাইভ ১ জন। ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১৮ জন অংশ নিয়ে ১৮৭ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৮৫.৭৮, জিপিএ ফাইভ ২ জন। পাতিলাসাঙ্গন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩০ জন অংশ নিয়ে ৬১ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৪৬.৯২%। হাজী ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৬৩ জন অংশ নিয়ে ৯৫ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৫৮.২৮%, জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৩ জন। নিরোদ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩০ জন অংশ নিয়ে ৬৯ জন পাশ করেছে‌। পাশের হার ৫৩.০৮%, জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২ জন। শিলুয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯৮ জন অংশ নিয়ে ৪২ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৪২.৮৬%। ছোটধামাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯৪ জন অংশ নিয়ে ৪৭ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৫০%। এম সাইফুর রহমান হাজী মনোহর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ৮০ জন অংশ নিয়ে ৪১ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৫১.২৫%। সাগরনাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন অংশ নিয়ে ১১১ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯৪.৮৭%, জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ জন। রাঘনা বটলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০৭ জন অংশ নিয়ে ৭৯ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৭৩.৮৩। হোছন আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৪ জন অংশ নিয়ে ৩৬ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৬.৬৭%, জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ জন। জীবনজ্যোতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৯ জন অংশ নিয়ে ৩৪ জন পাশ করেছে পাশের হার ৮৭.১৮।

উপজেলার আটটি মাদ্রাসা থেকে কোন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পায়নি। নয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৬৫ জন অংশ নিয়ে ৩৯ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৬০%। হযরত শাহখাকী দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪১ অংশ নিয়ে ১৬ জন পাশ করেছে পাশের হার ৩৯.০২, সাগরনাল মাদ্রাসা থেকে ১৩১ জন অংশ নিয়ে ৪১ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৩১.৩০। জাঙ্গিরাই দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৬৫ জন অংশ নিয়ে ২৫ জন পাস করেছে, পাশের হার ৩৮.৪৬। নয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩৩ জন অংশ নিয়ে ১২ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৩৬.৩৬। জায়ফরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০ জন অংশ নিয়ে ৯ জন পাল করেছে, পাশের হার ৪৫.০০%। শাহপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২৭ জন অংশ নিয়ে ১৫ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৫৫.৫৬। এমএ মুছাওয়ী দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৬ জন অংশ নিয়ে ৩ জন পাস করেছে, পাসের হার ১৮. ৭৫।

ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, নিয়মিত বিদ্যালয় মনিটরিং করে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ