মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে পরিবেশ আইন অমান্য করে অবাধে টিলা কেটে সাবাড় করছে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ। ফলের বাগান করা ও ঘর বাড়ি নির্মানের অজুহাতে টিলা কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার পরও এসব দেখেও না দেখার ভান করছে উপজেলা প্রশাসন।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিন বড়ডহর গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী লেবু বেগম প্রায় ৩০ ফুট উঁচু একটি বিশাল টিলার মাটি কেটে বিক্রি করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে। টিলার মাটি কেটে নেওয়ার ফলে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাড়ি ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোন সময় মাটি ধসে পড়ে বড় ধরনের প্রাণহানীর আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়াও ভরাডহর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মৃত আব্দুল হাছিবের ছেলে জাবেদুল আলম সিপার বসতভিটার পাশের উঁচু পাহাড়ের মাঝখানের মাটি কেটে সমতল করে সরকারি খরচে মাল্টা বাগান করেছেন। টিলা কাটার বিষয়টি যাতে লোকজনের নজরে না পড়ে সেজন্য গাছ-গাছালি দিয়ে এটাকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মোঃ মাইদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে বলেন, টিলা কাটার বিষয়টি জেনেছি। তবে আইন অনুযায়ী টিলা কাটা অবস্থায় খবর পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। যেহেতু বিষয়টি পরে জেনেছি তাই পরিবেশ অধিদপ্তর কে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হবে। কাটা টিলায় সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে।