এফ এম সিফাত হাসান শেরপুরঃ
২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোন একসময় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া উত্তরপাড়া কেরাতিয়া মাদ্রাসার মক্তবে দূর্বৃত্তের লাগানো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রায় ৩০টি কোরআন শরীফ, কিছু কায়দা ও আমপারা।
এদিকে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ ব্যক্তিকে আটক করেছে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক।
পুলিশ, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০ বছর আগে স্থানীয় ২ ব্যক্তির দেয়া ৫ শতক জমিতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসার এই মক্তবে নিয়মিত ছেলে মেয়েদেরকে কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। মাদ্রাসার একজন শিক্ষক দিয়ে মক্তবের প্রায় ৪৫ জন ছেলে-মেয়েকে সকালে কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। পরে বুধবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় মাদ্রাসায় থাকা প্রায় ৩০ টি কোরআন শরীফ পুড়িয়ে ফেলে দূর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় মুসল্লীরা ফজরের নামাজ আদায় করতে এলে মাদরাসার মক্তবের মেঝেতে প্রায় ৩০ টি কোরআন শরীফ পোড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। যা মুসল্লী ও এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ জহুরুল হক বলেন, সকালে কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত মাদ্রাসায় আসি। এসময় মাদ্রাসার মেঝেতে কোরআন পোড়ানো অবস্থায় দেখতে পাই।
এদিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শেরপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ফখরুজ্জামান জুয়েল, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) রায়হানা ইয়াসমিন, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাএমদাদুল হক, নালিতাবাড়ী পৌরসভার মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, রূপনারায়নকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আল মামুনসহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ২ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। ঘটনাটি উদঘাটনের জন্য পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। এসপি স্যারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।