২২ জুলাই শনিবার বিকেলে নকলা পৌরসভার ফেরুষা মহল্লায় মাদককারবারি ধরতে গিয়ে মাদককারবারির সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে মাদককারবারিসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
আটক করা হয়েছে মাদককারবারি পিন্টু মিয়াকে (৩৫)। উদ্ধার করা হয়েছে ৮ কেজি গাঁজা। পিন্টুর বাড়ি নকলা পৌরসভার ফেরুষা মহল্লায়। তাঁর পিতার নাম ময়দান আলী।
আহত পুলিশ সদস্য ও মাদককারবারি পিন্টু মিয়াকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।পরে পিন্টুকে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য পুলিশ পাহারায় শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নকলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব মোহন্ত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিন্টুর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পিন্টুর সহযোগি আফরোজা বেগম ওরফে কবিতা (২৮) পালিয়ে যায়।
পিন্টুকে আটকের সময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে উপপরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব মোহন্ত, সদস্য সেলিম আহমেদ ও মাহমুদুল হাসান আহত হন। পরে পুলিশ পিন্টুকে আটক করে এবং তাঁর হেফাজতে থাকা একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় হলুদ রঙের কচটেপ দিয়ে মোড়ানে ৪টি প্যাকেটে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
পালিয়ে যাওয়া আফরোজার বাড়ি বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ভুরদী গ্রামে। তাঁর স্বামীর নাম স্বপন মিয়া। বর্তমানে সে নকলা পৌরসভার জালালপুর মহল্লায় বাস করে।
রাতে পিন্টুকে সাথে নিয়ে পুলিশ আফরোজাকে গ্রেফতার করতে জালালপুর মহল্লার ম্যানেজার মার্কেট এলাকায় যায়। সেখানে সিএনজি থেকে নামানোর সময় পিন্টু দৌঁড়ে পালাতে চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে ঝাঁপটে ধরে।
এসময় পুলিশের সাথে নতুন করে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পিন্টু, উপরিদর্শক (এসআই) পু্লক চন্দ্র রায় ও পুলিশ সদস্য সুকান্ত দাস সড়কের নীচে পড়ে গিয়ে আহত হন। পরে পথচারীদের চেষ্টায় তাঁদেরকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নকলা থানায় নিয়মিত মাদক মামলা হয়েছে। সুস্থ্য হলে পিন্টুকে আদালতে হাজির করা হবে। আফরোজাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।