ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গ্রামীন অবকাঠামোগত উন্নয়নের সরকারি সড়ক গুলি ভেঙ্গে ফেলছে অবৈধ বড় চাকার ট্রাক্টর ও নসিমন গুলি। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ মানুষ। এবং সড়ক ব্যবস্থায় সরকারি উন্নয়ন এলাকায় চোখে পরছে না। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই!
উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক গুলিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইট-বালু বোঝাই করে চলা অবৈধ ট্রাক্টর ও নসিমন গুলি প্রতিদিন সড়ক ব্যবহার করে দেদারসে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে ভাঙ্গছেন এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সরকারি সড়ক গুলি।
অভিযোগ রয়েছে ওইসব ট্রাক্টর ও নসিমন চালকের অধিকাংশ কমবয়সের। তারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে প্রায়ই এলাকায় প্রাণহানি সহ ভয়াবহ দুর্ঘটনার সৃষ্টি করেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, এসব অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের কারনে প্রতিবছর এলাকায় ৮-১০ জন মানুষ তাদের প্রাণ হারিয়ে থাকে
এবং বহু মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্বপন মিয়া,সুরুজ মিয়া, কুদ্দুস মিয়া, মোসলেম উদ্দিন সহ
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান,আমাদের এলাকায় অনেকগুলি ব্রিকফিল্ড রয়েছে।
এই ব্রিকফিল্ড ও ইট-বালু ব্যবসায়ীদের বড়/মোটা
চাকার ট্রাক্টর ও নসিমন গুলি আমাদের এলাকার সব সড়ক(রাস্তা-ঘাট) ভেঙ্গে দিচ্ছেন।
বর্ষা মৌসমে বৃষ্টির কারনে এলাকার সড়কের মাটি গুলি নরম থাকে। এই নরম মাটির সড়ক দিয়ে বোঝাই করা এই যানবাহন চলাচলের কারনে সড়ক গুলি ব্যাপক ভাঙ্গণের কবলে পরে। এছাড়াও ওইসব যানবাহনের চালকরাও বেপরোয়া গতিতে তাদের গাড়ি চালিয়ে থাকে এতে করে প্রায়ই বড় বড় দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত অনেক নিরীহ পথচারী প্রাণ হারিয়েছেন তাদের কারনে।
এ বিষয়ে প্রশাসনিক ভাবেও তাদের উপর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, এই সব যানবাহন গুলি সাধারত কৃষি জমির জন্য ব্যবহিত হয়ে থাকে। কিছু অসাধু মানুষ এই যানবাহন গুলি দিয়ে ইট-বালু সহ নানান ভাড়ি সামগ্রী বহন করেন। এর কারনে এলাকার অনেক সড়ক ভেগে যাচ্ছে, আমি তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. একরামুল সিদ্দিক বলেন, এসব মোটাচাকার ট্রাক্টর ও নসিমন গুলি এলাকায় তাদের
চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এলাকায় তাদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করা জন্য বলা হয়েছে।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস