বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে যদি নিজেকে গড়ে তুলতে হয় তাহলে সত্যিকার ভাবে তাঁর আদর্শ বুকে ধারণ করে ত্যাগী কর্মী হিসেবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জাতির পিতা এ দেশের মানুষের জন্য তাঁর সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন। দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারাটাই একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য সবচেয়ে বড় সার্থকতা। এছাড়াও দেশের যে কোনো ক্লান্তিলগ্নে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বৃহস্প্রতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মানিকছড়ি উপজেলার সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের পু্র্নমিলন উপলক্ষে মানিকছড়িতে আয়োজিত এক বিশাল ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু এসব কথা বলেন।
বৃহস্প্রতিবার (৭ জানুয়ারী) বেলা ২টার পর উপজেলার চার ইউনিয়নের ছত্রিশ ওয়ার্ড থেকে ছাত্রলীগ এবং ইউনিয়ন থেকে সাবেক ছাত্রলীগ, বর্তমান আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা দলে দলে ব্যানার, ফেস্টুনসহ নানা শ্লোগানে সমাবেশস্থলে এসে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমবেত হয়। বেলা সাড়ে ৩ টার আগেই সমাবেশ স্থল ছাত্র সমাবেশে টুইটুম্বুর। বেলা সাড়ে ৩ টার পর সমাবেশের প্রধান অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী অপু জেলা ও উপজেলার সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন। অতিথিরা সমাবেশস্থলে এসে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে অতিথিরা মঞ্চে আসন গ্রহন করলে কলেজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের তরুণ কর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছায় অতিথিদের অভিবাদন জানান।
এর পর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ জামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক চহ্লাপ্রু মারমা নিলয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক উবিক মোহন ত্রিপুরা, যুবলীগ সভাপতি মোঃ সামায়উন ফরাজী সামু, ১৯৮৮ সালের উপজেলা ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি বিকাশ নন্দি, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, ১৯৯০ সালের রাজপথ কাঁপানো ছাত্রনেতা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য মনোনীত জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মাঈন উদ্দীন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মানিকছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম,
এছাড়া বিশাল ছাত্র সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ.রাজ্জাক, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ও বাটনাতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মোহন, যোগ্যাছোলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন, তিনটহরী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম বাবুল, ভাইস চেয়ারম্যান ডলি চৌধুরাণী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, সাবেক যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহেদুল আলম, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা কামাল, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ আবু জাফর, উপজেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহিদ হোসেন প্রমূখ।
পরে সমাবেশের সভাপতি মোঃ জামাল হোসেন সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সমাবেশ শেষে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃব্ন্দ। এর পর বিভিন্ন অনাথ আশ্রম, মন্দির, মাদরাসা শিক্ষার্থীর হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন অতিথিরা। এদিকে রাতে সমাবেশস্থল আমতলা ভূইঁয়া মার্কেটে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে।