• বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
আওয়ামীলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মহালছড়ি ও মাইসছড়ি বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল মহালছড়িতে সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে শীতার্তদের কম্বল বিতরণ রংপুরে ২য় বারের মতো আয়োজিত হয়ে গেলো ” কিরন পেজেন্টস এন,ইউ,এস,ডি,এফ দক্ষতা উন্নয়ন সম্মেলন ২০২৫ বান্দরবানে নানান আয়োজন চলছে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে নাইক্ষংছড়িতে এক কিশোরের পা উড়ে গেল শেষ হলো বান্দরবান-র  জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মহালছড়িতে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক উপহার প্রদান উপজেলা বিএনপির লামায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় নানা আয়োজনে রাজস্থলীতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মতবিনিময় অনুষ্ঠিত খেলাধুলা একটি জাতির উন্নতির অন্যতম মাধ্যম- বলেন -লে. কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান আওয়ামী সরকারের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মশাল মিছিল

মানিকছড়িতে স্বগোত্রীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্মশানের জায়গা জবর দখলের অভিযোগ

আব্দুল মান্নান, নিজস্ব প্রতিবেদক মানিকছড়ি: / ৫২০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের সাধু পাড়া, সাধনা পাড়া,পাঞ্জাপ্রু পাড়া ও পতিরাম পাড়ায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের আদি বসবাস। এই চার গ্রামের একমাত্র শতবর্ষী শ্মশানটি সাধু পাড়া গ্রামে অবস্থিত। শ্মশান পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সাধন কুমার ত্রিপুরা দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে (১৯৮০-১৯৮৫)শ্মশান টিলার বৃহতাংশ নিজে দখলে নেয়।

এ নিয়ে গত প্রায় ২৫ বছর ধরে দখলকারী ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীরা মুখোমুখি অবস্থানে! ফলে অসংখ্য বার গ্রাম বা পাড়া প্রধান থেকে শুরু করে ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যানেরাও বিষয়টি সমাধানে হোঁচট খেতে হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীরা একটি স্বগোত্রীয় পরিবার কর্তৃক শ্মশানে ভূমি জবরদখল ও প্রতিবাদী মানুষের বিরুদ্ধে নানাভাবে হয়রানীর বিরুদ্ধে এখন প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী। গত ২২ জুলাই দলবেঁধে ত্রিপুরা নারী পুরুষ থানায় এসে দীর্ঘ দিন শ্মশানের জায়গা জবরদখলের প্রতিকার চেয়েছেন।

পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও ত্রিপুরা পাড়া প্রধান সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রাচীনতম বাটনাতলী ইউনিয়নে সাধু পাড়া, সাধনা পাড়া,পাঞ্জাপ্রু পাড়া ও পতিরাম পাড়ায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের একমাত্র সাধুপাড়া শ্মশান পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সাধন কুমার ত্রিপুরার বিরুদ্ধে শ্মশানে জায়গা জবরদখলের অভিযোগ অনেক পুরনো ঘটনা।

এ নিয়ে গত ২৫ বছরে এলাকায় পাড়া প্রধান, মেম্বার,চেয়ারম্যানেরা এগিয়ে এসেও কোন সুরাহায় সায় দেয়নি সাধন কুমার ত্রিপুরা। ফলে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কোন লোক মারা গেলে সৎকারের সময় জায়গা নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ১৯৮০-১৯৮৫ সময়ে শ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন সাধন কুমার ত্রিপুরা। সে সুযোগে শ্মশান টিলার একাংশ (পাশ) অপরাংশ নিজের নামে রেকর্ডপত্র সম্পন্ন করেন সাধন কুমার ত্রিপুরা! এ নিয়ে সাধু পাড়া ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শ্মশান পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি বরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা বলেন, সাধু পাড়া শতবর্ষী শ্মশান টিলায় বৃহতাংশ সাবেক সভাপতি নিজ নামে জবরদখল করেন! বর্তমানে আনুমানিক ২একরে জায়গায় সৎকার হয়ে আসলেও টিলার মধ্যখানের আরও প্রায় সাড়ে ৩ একর খালি জায়গায় সাম্প্রতিকালে দাহক্রিয়া করতে গেলে সাধন কুমার ত্রিপুরা বাধা প্রদান করায় বিরোধ দেখা দিয়েছে। সাধন কুমার ত্রিপুরা শ্মশানের জায়গা দখলে নেওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে গত ২১ জুলাই প্রতিবাদকারীদের (আমাদের)বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন সাধন কুমার ত্রিপুরা।

থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক সুমন কান্তি দে অভিযোগের সত্যতা ও শ্মশানের জায়গা নিয়ে একটি ত্রিপুরা পরিবারের সাথে পুরো ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বিরোধ সম্পর্কে বলেন, একটি বড়সড় টিলার একপ্রান্তে শ্মশান ও অপরপ্রান্তে সাধন কুমার ত্রিপুরার দখল। মধ্যখানের কিছু জায়গা নিয়ে শ্মশান কমিটি ও সাধনের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে।

সাধন কুমার ত্রিপুরার অভিযোগে শ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা ও সম্পাদক নির্মল কান্তি ত্রিপুরাসহ কয়েকজনকে গতকাল শনিবার থানায় ডেকে পাঠালে শতাধিক নারী, পুরুষ দলবেঁধে এসে সাধন কুমার ত্রিপুরার বিরুদ্ধে শ্মশানে জায়গা জবরদখলের পাল্টা অভিযোগ করেন। পরে ইউপি মেম্বার মো. মহরম আলী ও চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম এবং ও.সি তদন্ত মো. আজগর হোসেনের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, খুব শিগগিরই উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় আমিন(ভূমি মাপক) নিয়ে শ্মশান টিলার মধ্যখানের বির্তকিত জায়গা মাপজোপ করে সমহারে বণ্টন করে দীর্ঘ দিনে সমস্যা সমাধানে সকলে ঐক্যমত হয়েছে। তবে সাধন কুমার ত্রিপুরা শ্মশানে জায়গা জবরদখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শ্মশানে পূর্ব নির্ধারিত জায়গা থাকা স্বত্ত্বেও আমার ভোগ-দখলীয় জায়গায় শ্মশান কমিটি অহেতুক হস্তক্ষেপ করতে বার বার ঝামেলা পাকায়। তারপরও সামাজিক ও ধর্মীয় স্বার্থে সহনশীল সমাধানে আমি একমত।

বাটনাতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম জানান, সাধুপাড়া ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শ্মশান নিয়ে দীর্ঘ দিনের ঝামেলা সুরাহায় ইতোপূর্বে অনেক চেষ্টা হলেও সমাধান করা যায়নি। এবার পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি স্থায়ী সুরাহা করার চেষ্টা করব।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ