আব্দুল মান্নান, নিজস্ব প্রতিবেদক মানিকছড়ি:
শেষ সময়ে সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, ভয়-ভীতির আশংকা থাকায় খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রশাসন। ফলে সকাল থেকে শান্তিপুর্ণ পরিবেশে এবং নারী ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ভোট গ্রহন চলছে। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্যসহ চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় ওরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে আছেন। ফলে এক ওয়ার্ডে ২জন সংরক্ষিত সদস্য ও ৭টি ওয়ার্ডে ১৬জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । ৭টি কেন্দ্রের ৪টি অধিক ঝুঁকিপুর্ণ ও ৩টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। দুপুর ১২ টা নাগাদ ৫০% ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তা নিশ্চিত করেছেন। বেলা সাড়ে ১১ টায় কালাপানি গ্যাসফিল্ড ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মহি উদ্দীন আহম্মদ জানান, ৮৬৮ ভোটের মধ্যে ৫০% ভোট কাস্ট হয়েছে। এখানে সাধারণ সদস্য প্রার্থী ৪জন।
এদিকে ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাসহ শান্তিপুর্ণ ভোট গ্রহনে ৩জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষনিক দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া ১ প্লাটুন এপিবিএন আর্মস পুলিশ ও বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩নম্বর যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক মো. আবদুল মতিনসহ ৪,৫,৬ ও ৭,৮,৯ ওয়ার্ডে সংরক্ষিত সদস্য ও ওয়ার্ড ৫ ও ৯ এ ২জন সাধারণ সদস্য একক প্রার্থী হওয়ায় ওরা বিনা ভোটে নির্বাচিত। ফলে সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডে ২জনসহ ৭ ওয়ার্ডে ১৬জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী এখন নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি অধিক ঝুঁকিপুর্ণ ও ৩টি ঝুঁকিপুর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডে ২জন করে সাধারণ সদস্য ও ২জন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে সংরক্ষিত সদস্য ২জন একই পরিবারের নিকটাত্মীয় হওয়া এবং একজন আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেত্রী ও সাবেক ইউপি সদস্য এবং অন্যজন কতিপয় শিল্পপতির বোন হওয়ায় নির্বাচনী মাঠ শেষ সময়ে এসে জমিয়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্যরাও একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলায় এখানকার কালাপানি নতুন বাজার ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, পান্না কার্বারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাড়িছড়া হামিদ মেম্বার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপুর্ণ ঘোষণা করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে ৭নম্বর ওয়ার্ডের সাপমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২জন সাধারণ সদস্য একে অন্যের নিকটাত্মীয় হওয়া স্বত্বেও মারমুখী অবস্থানে থাকায় জনপদে উত্তেজনা থাকায় সেটিকেও অধিক ঝুঁকিপুর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে চারটি ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ ও প্রশাসন।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনচারুল করিম জানান, অধিক ঝুঁকিপুর্ণ চারটি কেন্দ্রে ১০জন পুলিশ, ১৭জন আনসার সদস্য এবং ঝুঁকিপুর্ণ ৩টি কেন্দ্রে ৬জন পুলিশ ১৭জন আনসার ভিডিপি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে এপিবিএন আর্মস পুলিশ ও বিজিবি সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষনিক মাঠে রয়েছেন।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ /এমএস