ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ক্রীড়া শিক্ষক খলিলুর রহমান মল্লিক ওরফে খলিল মাস্টার (৬৫) এর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষক হওয়ার কারণে প্রাক্তন প্রভাবশালী ছাত্র বরকত ও রুবেলকে ব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করেন।
জানা যায়, খলিল মাস্টার পেশী শক্তি খাটিয়ে বিভিন্ন জনের প্রায় তিন একর জমি অবৈধ দখল নিয়েছে। অভিযোগে জানা যায় গত ২৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৯.৩০ মিনিটে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের কামারডাঙ্গী গ্রামে টেপাখোলা ফরিদাবাদ গ্রামের কামরুল হাসান তার পৈত্রিক ৮৩.০৭ শতক জমি থেকে সরিষা উত্তোলেণ করতে গেলে খলিল মাস্টারসহ ৬/৭ জন লোক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাধা সৃষ্টি করে। ঐদিনই এ বিষয়ে ভুক্তভুগী কামরুল হাসান কোতয়ালি থানায় বাদী হয়ে খলিল মাস্টারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ১ টি মামলা দায়ের করে। জানা যায়, উত্তর ডিক্রিরচর মৌজায় জেএল ১৪৭ আরএস খতিয়ান ১১০৭, ১১০৮ এসএ খতিয়ান নং ১২৪৯, ১২৫০ দাগ নং ৩৫৩, ৩৫৪, ৩৫৫, ৭৬২, ৭৬৩, ১০৬৬ ও ১৭৭৭ জমির পরিমাণ ২৮৫ শতাংশ এসব জমি উদ্ধারে একাধিক বার থানায় অভিযোগ করার পর থানার মাধ্যমে এলাকার বিশিষ্ট্য ব্যক্তিদের নিয়ে বহুবার শালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু খলিল মাস্টার শালিশ মানেন না এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলেছেন। আরো জানা যায়, তার অবৈধ দখলের সাথে সহযোগিতা করে তারা হলো: দেলোন মল্লিকের ডাঙ্গীর ১) মোঃ জলিল মল্লিক (৪৫), ২) মোঃ মুক্তার মল্লিক (৪২), ৩) মোঃ তুহিনুর রহামন মল্লিক (৩২), ৪) মোঃ তুষার মল্লিক (২৫), ৫) মোঃ আলমগীর মল্লিক (২৮), ৬) মোঃ মিলন বেপারী (৬৫) ও ৭)জাহিদ বেপারী (৪০)। ভূক্তভূগীদের মধ্যে আমেনা বেগম জানান, খলিল মাস্টার আমার আপন চাচাতো ভাই আমাদের পৈতৃক জমি যা ছিল বেশীর ভাগ জমি খালিল মাস্টার জাল দলিলের মাধ্যমে জোড় করে অবৈধ দখল নিয়েছে। তার কাছে একাধিক জাল দলিল আছে। ক্ষমতার দাপট, অর্থের জোড়ে, থানা পুলিশকে ব্যবহার করে একাধিক বার শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেছে এবং আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলেছে। আমার জমি থেকে ঘর ভেঙে উচ্ছেদ করেছে। আমি গরীব অসহায় মানুষ বিধায় কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছি না। আমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে অসহায় জীবন যাপন করছি। এই ব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার এর নিকট ন্যায্য অধিকার ও সুবিচার দাবি করছি। একই ইউনিয়নের বকুল খাঁ জানান, আমার জায়গা খলিল মাস্টার অবৈধ দখল নিয়েছিল আমি তা উদ্ধার করেছি। তিনি এই এলাকার দূর্ধর্ষ ভূমি দস্যূ। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
সে একজন অমুক্তিযোদ্ধা, আমি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন জানিয়েছি তার মুক্তিযুদ্ধ সনদ বাতিল করার জন্য, আশা করি সঠিক তদন্ত ও যাচাই বাছাই হলে তার অবশ্যই সনদ বাতিল হবে। ফরিদপুর কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ এম মোর্শেদ আলম বলেন, অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।