খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ১৭ জুলাই। নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানসহ ২জন সংরক্ষিত সদস্য ও ২জন সাধারণ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে নির্বাচনী মাঠে আমেজ না পড়লেও শেষ সময়ে সদস্য পদপ্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ দলবল নিয়ে নির্বাচনী শো ডাউন বা পথসভায় উপস্থিত হওয়ায় একাধিক প্রার্থীরা বিব্রত!
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩নম্বর যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক মো. আবদুল মতিনসহ ৪,৫,৬ ও ৭,৮,৯ ওয়ার্ডে সংরক্ষিত সদস্য ও ওয়ার্ড ৫ ও ৯ এ ২জন সাধারণ সদস্য একক প্রার্থী হওয়ায় ওরা বিনা ভোটে নির্বাচিত। ফলে সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডে ২জনসহ ৭ ওয়ার্ডে ১৬জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী এখন নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় এখানের অধিকাংশ ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ ও সমমনা ব্যক্তিরা সদস্য ও সংরক্ষিত পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রচারণায় শেষ সময়ে সদস্য প্রার্থীদের পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ দলবল নিয়ে নির্বাচনী শো ডাউন বা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে দলের গ্রহনযোগ্য প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণ করায় দলের সুদৃষ্টিবঞ্চিতরা কিছুটা বিব্রত! তাদের অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন দলীয় না হওয়ায় আমরা নির্বাচনকে প্রাণবন্ত ও জনপদে ভোটের আমেজ ফিরিয়ে আনতে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। এখন দেখি ভোটের আগ মুহূর্তে দল একজনের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে আমাদের বিপদে ফেলেছে! আগে জানলে অর্থকরীর জলাঞ্জলি দিয়ে নির্বাচনে আসতাম না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য মো. মাঈন উদ্দীনের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের আধা ডজন শীর্ষ নেতৃবৃন্দের একটি বহর কালাপানি এলাকায় পান্না কার্বারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সংরক্ষিত সদস্য পদপ্রার্থী মরিয়ম বিবি(মাইক) একটি নির্বাচনী পথসভায় যোগদান করেন।
এতে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ম্রাগ্য মারমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম, ক্যয়জরী মহাজন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শফিউল আলম চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা মো. আতিউল ইসলাম, মো. আলমগীর হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. নূর ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে একাধিক দলীয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করা স্বত্বেও দলের ত্যাগি ও গ্রহনযোগ্য প্রার্থীর পথসভায় অংশ নিয়ে ভোটারদের উৎসাহ দিতেই আমাদের এগিয়ে আসা।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ এম এস