ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রতিবাদে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন পালিত হয়।
সাংবাদিক সমাজ গতকাল মঙ্গলবার (১২ জুন) ডাকবাংলো প্রাঙ্গণ সদর রাস্তায় এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। পত্রিকায় সংবাদ প্রকার জেরে নবীনগর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে গত ৫ জানুয়ারী মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলার সাত আসামি হলেন সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল (দৈনিক ভোরের সময়), মাহাবুব আলম লিটন (দৈনিক সমকাল), মো. বাবুল (দৈনিক আমার সংবাদ), জ, ই বুলবুল (দৈনিক দেশ রূপান্তর), মো. সফর মিয়া (দৈনিক বর্তমান), দৈনিক সত্যের সন্ধ্যানে পত্রিকার নবীনগর প্রতিনিধি (নাম জানা যায়নি) ও মমিনুল হক রুবেল (ঢাকা নিউজ)। মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজমের (সিএমপি) এসআই জুয়েল চৌধুরী গত শুক্রবার আসামিদের নাম ও ঠিকানা যাচাই করে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জানানোর জন্য নবীনগর থানাকে চিঠি দেন। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।
নবীনগরে এক সমাজসেবিকা ও নারী উদ্দ্যোতা সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল গত ৮ ডিসেম্বর/২২ কাইন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ইউএনও’র বরাবরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূয়া সন্তান সেজে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় সাংবাদিকর বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় রিপোর্টটি প্রকাশ করে । ওই সংবাদ প্রকাশের জেরে এ মামলাটি করা হয়।
সাংবাদিকদের এ মানববন্ধনে সাংবাদিকদের সাথে সুশিল সমাজের নের্তৃবৃন্ধ অংশগ্রহন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। বক্তব্য রাখেন, ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নবী,কমরেড ইসহাক, মাওয়ালানা মেহিদী হাসান, মানবাদিকার কর্মী আমীর হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম চৌধৃুরী,সাধন সাহা জয়, শাহিন রেজা টিটু, মো. বাবুল আহম্মেদ, মো. সফর আলী, পুতুল বেগম, সঞ্জয় শীল, কায়েস আহম্মেদ, হেদায়েত উল্লাহ, খান জাহান আলী চৌধুরী প্রমূখ।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ এমএস