সারা দেশের মতো খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান না থাকায় ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গেল জুন মাসে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে কমপক্ষে ২২জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৮জন। ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ডেঙ্গুর হটস্পটে পরিনত হয়েছে। সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীদের মশারি টানিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান না থাকার কারনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা মো. মমিনুল হক বলেন, হাসপাতালপাড়া ও চৌধুরীপাড়ার পাশাপাশি ধলিয়া খালে ময়লা-অবর্জনার কারনে মশা বাড়ছে। কিন্তু ময়লা আবর্জনা পরিস্কারে কোন উদ্যোগ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমপাউন্ডে ময়লার স্তুপ থেকেই মশার উৎপত্তি হচ্ছে জানিয়ে আব্দুল জলিল ও হারুন মিয়া বলেন, বাইরে মশা উৎপাদনের কারখানা রেখে ভিতরে চিকিৎসা দিয়ে কি হবে।
তবে মশক নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক বলেন, কোরবানীর ঈদের পর হঠাৎ করেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। আমরা দু‘এক দিনের মধ্যেই মশক নিধনে আমাদের লোকজন মাঠে নামবো।
স্থানীয় বাসিন্দা মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মিল্টন ত্রিপুরা বলেন, গেল কোরবানীর ঈদের ছুটিতে ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আসার পরই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিশেষ করে জেলার বাইরে থেকে আসা লোকজনই ডেঙ্গুর ভেক্টর নিয়ে এসেছেন। জনবসতিপুর্ন এলাকায় স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গুর লার্ভা জন্মাতে পারে বলেও জানান তিনি। জ্বর হলেই হাসপাতালে গিয়ে পরিক্ষার আহবান জানিয়ে প্রচুর পরিমান তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ এ চিকিৎসকের।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস