খাগড়াছড়ি জলোর মহালছড়ি উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে গতরাতে একজনে আটক করা হয়েছে। মহালছড়ি উপজেলার ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নের ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মর্জিনা আক্তার(১৫)(ছদ্ম নাম)কে সাংবাদিক বানিয়ে চাকুরি দিবেসহ বিয়ে করার প্রলোভন ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকা থেকে আগত বড় মাপের খ্যাতিমান সাংবাদিকদের প্রেসকনফারেন্সের নাম করে হোটেলে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
উপরোক্ত ঘটনা মেয়ে বাবাকে জানানোর ফলেই মোঃ শফি আলম নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০২০ এর ৯/৪(খ)মামলা করা হয়। খাগড়াছড়ি সদর থানার মামলা নং-০৬,তারিখঃ- ২৬/১২/ ২০২০ ইং। মহালছড়ি থানার এসআই মোঃ শেখ ফরিদ ও মোঃ শেখ ইফতেখার মাহমুদ এবং এস আই মোঃ হারুণ অর রশিদ সহিত সম্মিলিত ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অপরাধী মোঃ আব্দুল জলিলকে ধরা হয়। রাতেই আসামী আব্দুল জলিলকে বিধি মোতাবেক সদর থানায় খাগড়াছড়িতে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে লোকমুখে জানা যায় যে কখন বর্তমান কথা, জবস টিভি, প্রভৃতি সাংবাদিক পরিচয়ে বর্তমান সময়ের বিশ্বস্তও দর্পণের ন্যায় স্বচ্ছ নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম ‘মিডিয়া’ নামক স্তম্ভকে কলুষিত-কালিমা লেপনকারী এক যোদ্ধার নাম কথিত স্ব-ভাষায়-স্বনামধন্য ও স্বমহিমায়- মহিমামন্ডিত সাংবাদিক আব্দুল জলিল। তিনি দীর্ঘ দিন মানুষের ছবি তুলে সংবাদের শিরোনাম করে দিবে বলে ভয় দেখিয়ে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে ও জায়গা-জমি বেদখল করে নেয়। সর্বশেষ কথা কলুষিতমুক্ত থাকুক সংবাদমাধ্যম বেঁচে থাকুক গণ মানুষের আশা-ভরসার গণমাধ্যম।
মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রজু করা হয়েছে। মহালছড়ি থানাধীন আসামীর বাড়ি হওয়াতে তথাকথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আব্দুল জলিল আমার অধীনস্থ এসআই তিনজন ও সৈনিক একসাথে অপারেশনের মাধ্যমে অপরাধীকে ধরতে সক্ষম হয়।