মাসুদ রানা, বিশেষ প্রতিনিধি:
বিপদজনকভাবে বঙ্গোপসাগরের ভাসানচরের কাছাকাছি অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় ভাসছে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ পানগাঁও এক্সপ্রেস। ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে ৩টি কন্টেইনার সাগরে ভেসে গেছে। উদ্ধার অভিযান কোন পর্যায়ে আছে- তা নিয়ে বন্দর ও জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বলছে ভিন্ন কথা।
এই অবস্থায় বিপদজনক হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুট নিরাপদ রাখতে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরুর তাগাদা দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার বলেন, ওই জাহাজটি উদ্ধারে ৫০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন, বার্জ ও টাগবোট নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সী-গ্লোরি শিপিং এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন বলেন, বৈরি আবহাওয়া ও তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযান চালানো এই মূহুর্তে সম্ভব হচ্ছে না। সাগর শান্ত হওয়ার পর উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে।
তবে, জাহাজ ও কন্টেইনার উদ্ধারে এখনও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
ইন্টারন্যাশনাল সালভেজ ইউনিয়নের সদস্য মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে উত্তাল সাগরের এই অংশে স্রোতের গতি বেশি থাকায়, এই জাহাজ উদ্ধারের কার্যত কোনো সুযোগ নেই। তাই আপাতত জাহাজ থেকে ছুটে যাওয়া কন্টেইনারগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান তিনি। নয়তো চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নৌ-যোগাযোগ চরম ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে উত্তাল সাগরে ঢেউয়ে পানি ঢুকে ৭২ কন্টেইনারে ৯৪ টিউস পণ্য নিয়ে ভাসানচরের পাশে উত্তাল সাগরে ডুবতে শুরু করে জাহাজটি। জাহাজ পানগাঁও এক্সপ্রেস এখনও অর্ধনিমজ্জিত অবস্থাতেই আছে। ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে তিনটি কন্টেইনার বাঁধন ছুটে সাগরে বিপদজনক অবস্থায় ভাসছে। বাকি কন্টেইনারগুলোর কি অবস্থা সেটি পরীক্ষা করার আপাতত কোনো সুযোগ নেই।
জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের হলেও পরিচালনা করতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সী-গ্লোরি শিপিং এজেন্সিজ। জাহাজটিতে মোট ৭২টি কন্টেইনারে প্রায় ১শ কোটি টাকার আমদানি পণ্য রয়েছে বলে জানা যায়। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনার নিয়ে ঢাকার পানগাঁও যাচ্ছিল।
পার্বত্যকন্ঠনিউজ/রনি