• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সোনাগাজীতে কৃষকদের মাঝে সার বীজ ও নগদ অর্থ  বিতরণ  গণপ্রকৌশল দিবস উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মাদ্রাসা শিক্ষা নৈতিক ও উত্তম চরিত্র গঠনেও ভূমিকা রাখে- ইউএনও মনজুর আলম মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের অভিযানে দুই বছর ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার বাঙ্গালহালিয়াতে রাধামদন গোপাল গিরিধারী সেবা কুঞ্জে অন্নকুট উৎসব সম্পন্ন রাজশাহী রেসিডেন্সিয়াল কলেজে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা কাপ্তাইয়ে ইউএনও এর বিদায় সংবর্ধনা নেত্রকোনায় জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিনে হিমু উৎসব জনগণের মন জয় করাই বিএনপি’র রাজনীতির লক্ষ্য মানিকছড়িতে ‘সম্প্রীতির বিশাল সমাবেশে’ ওয়াদুদ ভূঁইয়া গুইমারায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান খাগড়াছড়িতে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পর্যটকদের অপেক্ষায় দৃষ্টিনন্দন খাগড়াছড়ির ‘রিছাং ঝর্ণা’

স্টাফ রির্পোটারঃ / ২০৭ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট ‘রিছাং ঝর্ণা’। এর অন্য নাম ‘তেরাং তৈকালাই’। রিছাং ঝর্ণা শব্দটি খাগড়াছড়ির মারমা সম্প্রদায়ের ভাষা থেকে এসেছে। মারমা ভাষায় ‘রিই’ শব্দের অর্থ পানি এবং ‘ছাং’ এর অর্থ কোনো কিছু থেকে লাফিয়ে পড়া। অর্থাৎ রিছাং এর বঙ্গানুবাদ করা হলে, উচু স্থান থেকে জলরাশির লাফিয়ে পড়াকে বোঝাবে।

পৃথিবীর কিছু কিছু জায়গার সৌন্দর্য বর্ণনায় উপমা আসে শুধুই ‘ছবির মতো সুন্দর’ কিংবা যেন ‘ভিউকার্ড’! সত্যি এমন একটি জায়গা হল খাগড়াছড়ির দৃষ্টিনন্দন ‘রিছাং ঝর্ণা’। প্রকৃতি এই রিছাং ঝর্ণার চারপাশের পরিবেশ এমন সব সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ করে রেখেছে যা দেখে আপনি মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না।

এ ঝর্ণা দর্শনীয় স্থান হিসেবে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মতো না। যার সৌন্দর্যের বিচারে উপেক্ষিত নয়। ২০০৩ সালের দিকে এটি সবার নজরে আসে এবং পরিচিতি লাভ করে। এই ঝর্ণার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো গ্রাম ছিল না। এখন কিছু পরিবারের দেখা পাওয়া যায়। জুম চাষের সুবাদে এ ঝর্ণা সবার নজরে আসে।

যে দিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর নীলচে পাহাড় দেখা যায়। পাহাড়ের পায়ে পাখির কলকাকলি প্রতিফলিত হয়ে দারুণ এক আমেজের সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে একরাশ বাতাস এসে আপনার মনকে মাতোয়ারা করে দিয়ে যাবে। (এটা স্বাভাবিক সময়ের সৌন্দর্য বর্ণনা করে হয়েছে। মেঘ বৃষ্টি বাতাস মিলিয়ে দেখা যায় অন্য এক সৌন্দর্য)। ঝর্ণায় পৌঁছার একটু আগে শেষ একটা পাহাড় নামতে হয়। পাহাড়টা বেশ ঢালু। নামার সময় তেমন কোনো কষ্ট হবে না। তবে ঝর্ণা থেকে ফিরে উঠার সময় ঠিকই সেটা টের পাওয়া যায়।

পাহাড়টি পার হলেই পাবেন বিশাল এক সিঁড়ি। সেই সিঁড়িটি বেয়ে নিচে নামতে নামতে নামতেই ঝর্ণার শন শন শব্দ শুনতে পাবেন। সিঁড়িটি শেষ হতে না হতেই ঝর্ণাটার দেখা পেয়ে যাবেন।

ঝর্ণাতে পৌঁছানের জন্য পুরোটা পথ আপনি গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না। ঝর্ণার কিছু আগে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে যেতে হবে। পাহাড়ি পথটা মোটেও আরামদায়ক নয়। আপনাকে একটি বাঁশের লাঠি নিয়ে নিতে হবে তাতে পরিশ্রম কম হবে।

দৃষ্টিনন্দন সে ঝর্ণা। সত্যিই সৌন্দর্যের আধার এ ঝর্ণা যেন প্রকৃতির এক অপার সৃষ্টি। পাহাড়ের প্রায় ১০০ ফুট উপর থেকে ঝর্ণার পানি নিচে পড়ছে। নিচে পড়ার পর তা আবার আরো ১০০ ফুট পাথরের ওপর গড়িয়ে নেমে আসে সমতলে। ওপর থেকে নেমে আসা স্ফটিক-স্বচ্ছ জলরাশি নির্ঝরের স্বপ্নের মতো অবিরাম প্রবাহমান।

পাহাড়ের কোল ঘেঁষে পাথরের ওপর দিয়ে পানি নিচে পড়ার ফলে একটি পিচ্ছিল পথের সৃষ্টি হয়েছে। আপনি একটু সাহসী হলেই সেই পানির স্রোতের সঙ্গে নিচে নেমে আসতে পারেন। মেতে উঠতে পারেন জলকেলিতে। ঝর্ণার বেশি কাছাকাছি গেলে খুব সাবধানে যেতে হবে, কারণ তা অত্যধিক পিচ্ছিল। পিচ্ছিলের কারণে প্রায় সময় পর্যটক পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে ফিরে গেছেন। আশপাশে ভালো কোনো খাবারের দোকান কিংবা পানির ব্যবস্থা নেই। তাই খাবার এবং পানির ব্যবস্থা সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন।

বর্তমানে রিছাং ঝর্ণা খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এই ঝর্ণার সার্বিক সংরক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো লোক নিয়োগ করা হয়নি এখনো। তবে এর উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদ থেকে সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে।

কিভাবে যাবেন
খাগড়াছড়ি শহর থেকে চাঁদেরগাড়ি (লোকাল নাম চান্দেরগাড়ি) বা পাবলিক বাসে করে যেতে হবে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে। সেখান থেকে হেঁটে কিংবা মোটরবাইকে করে যেতে হবে সরাসরি রিছাং ঝর্ণায়। হেঁটে ঝর্ণাতে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৪৫/৫০ মিনিটের মতো। আর যদি চাঁদেরগাড়ি বা সিএনজি রিজার্ভ করে নিতে পারেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। তাহলে বার বার গাড়ি ঠিক করা, কিছু রাস্তা হাঁটা, গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার অনেক সময় বেঁচে যাবে।

পার্বত্যকন্ঠ  নিউজ/এমএস 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ