১৪ মে,শুক্রবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্রেশন ইন্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) উদ্যোগে আবাসিক দের সঙ্গে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব ও বর্তমান সংকট শীর্ষক আলোচনা সভায় সৎ বক্তারা এ সব কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট যে কোন বয়সের শিক্ষার্থী দের ২০২০-২০২১শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নীতিমালার সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে সেপ্টেম্বর থেকে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারি,ছাত্র শিক্ষকরা দেশ ব্যাপী কঠোর আন্দোলনে নামবে।
আইডিবির মহাসচিব ইন্জিনিয়ার মোঃ শামসুর রহমান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রালয় ঘোষিত নতুন নীতি মালা অযৌক্তিক, অগ্রহনযোগ্য ও বর্তমানে সফল ভাবে পরিচালিত কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংসের পায়তারা। ২০১৯ সালের আগের নীতি মালা অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে।তা না হলে ৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন ছাত্র শিক্ষকরা।
তিনি বলেন পিতৃতুল্য কিংবা বড় ভাইয়ের বয়সী শিক্ষার্থীদের সাথে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ফারকের কারনে শ্রণীকক্ষে ভারসাম্য নষ্ট হবে।সামাজিক ও প্রশাসনিক সমস্যার সৃষ্টি হবে।শিক্ষকদের পক্ষে শ্রেণী কক্ষে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে না।ফলে নিয়মিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।শিক্ষার্থী বৃদ্ধির পরিবর্তে হ্রাস পাইবে।সমাজে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং শিক্ষা সম্পর্কে বিরুপ ধারনার সৃষ্টি হবে।
আইডিইবির মহাসচিব বলেন শিক্ষা মন্ত্রনালয় ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সাথে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং এর মতো ইন্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনাকারী পলি টেকনিক ইন্সটিটিউটকে এক করে ফেলেছে,যা খুবই হতাশাজনক।
আইডিইবির সভাপতি ইন্জিনিয়ার এ কে এম হামিদ বলেন এমনিতেই কারিগরী শিক্ষায় সংকট বিদ্যমান,ল্যাব,ওয়ার্কসপ ও ক্লাস রুমের সমস্যা। পলিটেকনিক ও টি এস সি তে ছাত্র ছাত্রীদের থেকে অন্যায় ভাবে প্রতি মাসে টাকা সংগ্রহ করে পার্ট টাইম অনভিজ্ঞ ব্যাক্তিদের মাধ্যমে জোড়াতালি দিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন।২০২০ সালের মধ্যে মাধ্যমিকে প্রাক্ বৃত্তিমূলক শিক্ষা কোর্স চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান মন্ত্রী।শিক্ষা মন্ত্রনালয় তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছ।
দেশের পলিটেকনিক শিক্ষা ধ্বংসে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়াররা।তারা বলেন প্রতি বছর টেকনিক্যাল সাপোর্টের জন্য দেশের বাইরে ৬ মিলুয়ন ডলার চলে যাচ্ছে সেখানে আমাদের পলিটেকনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ইন্জিনিয়াররা নিজের যোগ্যতায় জায়গা করে নিচ্ছে। ধীরে ধীরে বাইরে থেকে লোক আনা কমে যাচ্ছে। এ কারনে এখন পলিটেকনিক শিক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে।