খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার ১নং ইউনিয়নের অধিনস্থ চাঁন্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে, সরেজমিনে গিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঢালাই ও গাঁথুনি কাজ করতে দেখা গেছে মিস্ত্রিদের। উপস্থিত ছিলেন না ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদারের কোনো লোকজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি জোন থেকে রামগড় উপজেলার ১নং ইউনিয়নের চাঁন্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণকাজ করা হয়।মেসার্স ফর্মা এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় এবং লিটন মাষ্টার ও ফোরম্যান চিংকু নেতৃত্বে তিন মাস আগে স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। স্থানীয় লোকজন ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটি জানায়, ঠিকাদার স্কুলের কাজের শুরু থেকেই অতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ করছে।
এছাড়াও এলাকাবাসী আরো বলেন সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির লোকজন নিম্নমানের ইটের বিষয়ে সহকারী ইঞ্জিনিয়ারকে বললে তিনি ঐসব নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ না করতে নিষেধ করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন , আমি স্কুল ভবন নির্মাণের বিষয়ে কিছু জানিনা এটা কন্ট্র্যাক্টর জানে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম,সহসভাপতি তারা মিয়া সহ দায়িত্ব প্রাপ্ত অনেকেই বলেন, আমরা যতবারই কাজ দেখতে গিয়েছি, একবার ও সেখানে ইঞ্জিনিয়ার বা ঠিকাদারের কোন লোক পাইনি। নির্মাণের ইট-খোয়া দেখলাম, কোনটাই ভাল না। বার বার নিষেধ করলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কোন তোয়াক্কা না করেই নিম্নমানের জিনিস পত্র দিয়ে কাজ চলমান রেখেছে, সরকারি কাজে এমন অনিয়ম বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নজরধারী বাড়ানোর প্রয়োজন। এ বিষয় জানতে চাইলে, মেসার্স ফর্মা এন্টারপ্রাইজের মালিক পক্ষের দায়িত্বে থাকা লিটন মাষ্টার কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ফোরম্যান চিংকু চাকমা মুঠোফোনে হুমকি স্বরূপ বলেন কাজের মান খারাপ হলে ইঞ্জিনিয়ার বলবে, আপনাকে কে বলেছে এসব নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করতে।
আমাকে চেনেন, আমি তিন পার্বত্য জেলার সব স্থানে কাজ করি।
রামগড় উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো.মাসুদ রানা বলেন, সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পেলাম ইট গুলো নিম্নমানের তাই এ ইট স্কুলের কাজে ব্যবহার না করতে ঠিকাদারের লোকজনকে নিষেধ করা হয়েছে।
রামগড় উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিডি কর্মকর্তা) মোহাম্মদ নাইমুল ইসলাম জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে আর নিম্নমানের কোন মালামালই সরকারি স্কুল ভবন নির্মাণকাজে ব্যবহার করা যাবে না।যে ইটের ছবি দেখেছি এটা ব্যবহারের উপযোগী নয়।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস