ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের কাছ থেকে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে ব্ল্যাকমেইল করে জোরপূর্বক বিবস্ত্র অবস্থায় ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে মানহানি করায় প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতারণার স্বীকার হওয়া ঐ ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য ভুক্তভোগী মোঃ খলিল মিয়া।
শনিবার (১০ জুন) সকালে উপজেলার শিবপুর সিএনজি স্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনিতে ইউনিয়ন পরিষদের ২ং ওয়ার্ড সদস্য লিটন মিয়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ রূপ মিয়া, আব্দুল ওদুদ, হোসেন হাজী, মো. খোরশেদ আলমের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী খলিল মিয়া।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি গত ২১ শে মে ব্যক্তিগত কাজে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের ডিসি বাংলার পিছনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি চক্র তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক একটি অজ্ঞাত বাসায় উঠিয়ে নেয়, সেখানে পূর্বে থেকে উলঙ্গ অবস্থায় থাকা একটি মেয়ের পাশে তাকে বসিয়ে বিবস্ত্র করে অনৈতিক ভিডিও ধারণ করে। সেই ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে প্রতারক চক্রটি। এতে তিনি নিজের সম্মান রক্ষার্থে তার সাথে থাকা ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা নগদ, বিকাশে থাকা ১৫ হাজার টাকা ও ২ টি স্মার্ট মোবাইল ফোন তাদের দিতে বাধ্য হয়। সেগুলো দিয়ে বাড়িতে আসার পর তাদের ধারণকৃত অনৈতিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে না দেয়ার কথা বলে প্রতারক চক্রের নারী সদস্য আঁখি পূনরায় তার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু পরোক্ষণে ”কনিকাড়া নিউজ” নামের একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে ধারণকৃত সেই ভিডিও পোস্ট করে সমাজে তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। এথেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি নিজে বাদী হয়ে প্রতারক চক্রের নারী সদস্য ময়মনসিংহ শেরপুরের আখি ও তার স্বামী নবীনগরের শিবপুর গ্রামের সিজিল মিয়া ছেলে রাসেল মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের প্রতারক চক্রটিকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোর দাবি জানান।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস