“বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে তারুণ্যের জয় বাংলা” এই প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম ইয়ং বাংলা নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত সংগঠন “জীবন” এর উদ্যোগে রাঙামাটি জেলার কাউখালীতে যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। বিজয়ের প্রথম প্রহরে “জীবন” কাউখালী চ্যাপটারের সভাপতি মোঃ ফয়জুর রহমান (ইরফান) এর নেতৃত্বে কাউখালী উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এসময় শহীদ বেদিতে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন সকল সদস্যরা। অতপর বৈশ্বিক করোনা মহামারী বিবেচনায় সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করে বিজয় মিছিল বের করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কাউখালী উপজেলায় ১৬টি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কাউখালী চ্যাপটারের সাধারণ সম্পাদক উচাইথিন মারমা (থিন) এর সাথে সকলের সম্মিলিত কন্ঠে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, পরমতসহিষ্ণুতা, নারী পুরুষের সমতা রক্ষা করে একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার মাধ্যমে স্থিতিশীল সমাজ বিনির্মাণে অবদান রাখার শপথ পাঠ করানো হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের তাঁদের বীরত্বপূর্ণ ভুমিকার জন্য স্যালুট প্রদর্শনের মাধ্যমে ইয়ং বাংলা নেটওয়ার্কের দেশজুড়ে উদযাপিত অভিন্ন কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছে “জীবন” কাউখালী চ্যাপটার। আয়োজনে কাউখালী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশের উপস্থিতি আয়োজনটির পরিপূর্ণতা দান করেছে। কাউখালী চ্যাপটারের সভাপতি মোঃ ফয়জুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক উচাইথিন মারমার পাশাপাশি কাউখালী চ্যাপটারের সহ সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান, সদস্য মোঃ ইয়াছিন, মোঃ মাহাফুজুর রহমান, রোমানা আক্তার, উষাইনু রোয়াজা, মাউচিং মারমা, উমংসাইং মারমা, এম কে এ জিন্নাহ, শারমিন আক্তার, সাজ্জাদ সরকার, সুইওয়ংচিং মারমা, সিমেনু চৌধুরী, মোঃ সজিব মিয়া, মোঃ সাকিব, মোঃ ফরহাদ খন্দকার, শান্ত রয়, সুমা আক্তার, ফারহানা আক্তার, বিবি কুলসুমা, শারমিন আক্তার, রিপা আক্তার ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কাউখালী উপজেলা থেকে “জীবন” এর নেতৃত্বে নারী সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণে সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ কামনা করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। কাউখালী উপজেলার কর্মসূচি নিয়ে “জীবন” কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদা জান্নাত বলেন, “কাউখালী উপজেলা আমাদের অন্যতম অর্জন। তাঁরা যেভাবে ইতিবাচক সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, আমরা আশাবাদী অচিরেই আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবো। ২০২১ সালে আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় রাঙামাটি জেলাকে নারী সহিংসতামুক্ত জেলা হিসেবে দেখতে চাই। “