বক্তারা লামা উপজেলার তামাকের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, মৌখিক ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম দিয়ে দীর্ঘদিন তামাক নির্মূল করতে কাজ করা হয়েছে। আগামীতে প্রয়োজন তামাক চাষ নিরুসাহিত প্রশাসনকে কঠোর হতে অনুরোধ করেন বক্তারা। ১৯৯১ সাল থেকে লামায় স্বল্প পরিসরে তামাক চাষ শুরু হয়। অথচ ৩৩ বছরের ব্যবধানে এখন আবাদী ৮০ শতাংশ জমি তামাকের দখলে। তামাকের এই আগ্রাসন বন্ধ করা না গেলে এইসব দিবস পালন করে লামা উপজেলা তথা দেশকে তামাকমুক্ত করা যাবেনা। এছাড়া সরকারের ভর্তুকিকৃত সার (ইউরিয়া, এমওপি ও টিএসপি) যাচ্ছে তামাকে। যার সূফল ভোগ করছে তামাক কোম্পানিরা। তামাক চাষ নিরুসাহিত করতে ভর্তুকি সার তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে জোর দেয় বক্তারা। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বলেন, প্রয়োজনে তামাক চাষ ও ফসল চাষের জমি আলাদা করে দিতে হবে। তাতে কিছুটা হলেও তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, সরকার তামাক চাষ বন্ধে কোন আইন করেনি তবে তামাক চাষ কমাতে নিরুসাহিত করতে বলা হয়েছে। কৃষি অফিসের প্রত্যেক্ষ-পরোক্ষ সহায়তায় চাষীরা ক্ষতিকর তামাক চাষ বাদ দিয়ে ফসলে ঝুঁকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বিগত দিনের ন্যায় সরকারি ও নদী-খাল-ঝিরির পাড়ের জমিতে তামাক চাষ করতে দেয়া হবেনা।
তামাকমুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার। অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, মিলকী রাণী দাশ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জুবাইরা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ সহ প্রমূখ। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বিশ্বের ৯ম বৃহত্তম তামাক ব্যবহারকারী দেশ। দেশের ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করেন। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস