‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশ্বস্তকরণ’ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর করেন গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
বুধবার বেলা ১১টায় রামগড় ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু’ এলাকায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়। খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের আয়োজনে ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি আসনের এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি বাসন্তি চাকমা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার নাঈমুল হক, সড়ক বিভাগ খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।
এই প্রকল্পটি প্রতিবেশী দেশ সমূহের সাথে আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। ভারত বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন ধার উন্মোচিত হবে। সাবরুম-রামগড় স্থলবন্দর উভয় দেশের ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে বিশাল সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে। প্রস্তাবিত সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের মিরসরাই এর বারৈয়ারহাট হতে শুরু হয়ে খাগড়াছড়ির রামগড়ে শেষ হয়েছে। রামগড় স্থলবন্দরটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর হতে মাত্র ১০৮ কিলোমিটার ও রাজধানী ঢাকা হতে ২০৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও ঢাকার সাথে সাব্রুম-রামগড় স্থলবন্দর এর সংযোগ স্থাপন হবে এবং মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক সমৃদ্ধি বেগবান হবে। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সাথে চট্টগ্রাম বিভাগ সহ সারা দেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। খাগড়াছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ পর্যটন শিল্পের বিকাশে এই সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অনুমোদিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী এই প্রকল্পের ব্যয় ১১০৭.১২ কোটি টাকা। তারমধ্যে জিওবি ৫১৩.০৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ৫৯৪.০৭ কোটি টাকা।
ভারতীয় নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অশোকা বিল্ডকন লিমিটেড আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে।
পার্বত্যকণ্ঠ নিউজ/এমএস