ঐক্য,শিক্ষা,সংস্কৃতি,প্রগতি Chini Hukumu Chini Sinimung ‘আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের পরিচয়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ত্রিপুরাদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসু উপলক্ষে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা নিজস্ব পোশাক পড়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। র্যালিতে বর্ণিল পোষাকে পাহাড়ি তরুণ-তরুণী ছাড়াও সব বয়সের হাজার হাজার নারী পুরুষের অংশগ্রহণে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। ত্রিপুরাদের স্মরণকালের বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালিতে ঐতিহ্যবাহী গরিয়া নৃত্য, রংতুলি একাডেমি গ্রুপের নৃত্য শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।
১২ই এপ্রিল বুধবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ আঞ্চলিক শাখা ও ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম রামগড় শাখার উদ্যোগে একটি আনন্দ র্যালী বিজয় ভাস্কার্য হতে রামগড়-খাগড়াছড়ি মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো বিজয় ভাস্কার্যে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালীর শুরুতে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে র্যালীর উদ্বোধন করেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাস, ওসি মো: মিজানুর রহমান সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
শোভাযাত্রাটির সমাপ্তির পর বিজয় ভাস্কার্য চত্ত্বরে ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর গরিয়া নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এই নৃত্য উপভোগ করেন ত্রিপুরা সম্প্রদায় ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ। নৃত্যের পরে বিজয় ভাস্কার্যে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন।
এসময় ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠন, পাড়া-মহল্লার সব বয়সের নারী পুরুষ ছাড়াও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সাংবাদিকরা আনন্দ র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন।
এম/এস