দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর উজানস্থল মানিকছড়ি বিভিন্ন অংশ বিগত সময়ে নদী চরের কৃষিজীবিরা তামাক চাষাবাদ করলেও সম্প্রতিকালে আইডিএফের চলমান প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতায় পাল্টে যাচ্ছে কৃষিজীবি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। প্রশিক্ষিত তামাক চাষীরা তাদের বিকল্প জীবিকায়নে পুরোদমে চাষবাদ করতে শুরু করছে পুষ্টি গুনে ভরা ড্রাগন, আম, পেয়ারা, শরিফা, বাতাবি লেবু, পেয়ারা, কাঁঠাল, পেঁপে, কমলা, মালটা, থাই লেবু রামবুটান ও শাক-সবজিসহ মিশ্র ফল-ফলাদির চাষাবাদ। পাল্টে যাচ্ছে হালদা পাড়ের পরিবেশ।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলা মিলনায়তন কক্ষে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ এর উপস্থিতিতে হালদায় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নে হালদা পাড়ের তামাক চাষী কৃষক পরিবারকে বিকল্প জীবিকায়নে সরকারের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে পল্লী কর্ম-সহায়তা ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় ১৮ জন কৃষকের মাঝে উন্নত প্রজাতির কমলা ও থাই লেবুর চারা বিতরণ করে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ)।
আইডিএফ এর হালদা প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. সজীব হোসেন জানান, সরকার হালাদাকে রক্ষায় বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। হালদা নদীর সুপেয় পানি দুষণমুক্ত রাখতে এর উজানে তামাক চাষ বন্ধ করে বিকল্প চাষাবাদে চাষীদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম ও জুনিয়র কৃষি কর্মকর্তা থুইঅংপ্রু মারমা।
এছাড়া ইতোপূর্বে সেখানে প্রশিক্ষিত কৃষকরা ড্রাগন, আম, পেয়ারা, কাঁঠাল, পেঁপে, শরিফা, রামবুটান, ও শাক-সবজিসহ মিশ্র ফল-ফলাদির চাষাবাদ শুরু করেছে। ফলে পাল্টে যাচ্ছে হালদা পাড়ের পরিবেশ। হালদায় ফিরছে স্বস্তিকর পরিবেশ।