• বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
দেড় যুগ পর মানিকছড়িতে বড়সড় শোডাউনে বিএনপি’র সম্প্রীতি সমাবেশের প্রস্তুতি সভা পাহাড়ি ৩ কন্যার দরজা খোলে গেল মুখরিত হবে দর্শনীয় স্থান নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে বান্দরবানে অভিযান চিতলমারীতে গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার মাটিরাঙ্গায় ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত প্রশাসনের উদ্যোগে নানিয়ারচর জোন অধিনায়কের বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠিত আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রাইখালীর দুর্গম হাফছড়ির বাসিন্দা পাইসাউ মারমার পাশে সেনাবাহিনী কেপিএম কয়লার ডিপু এলাকায় আগুনে পুড়ল বসতবাড়ি  নোয়াখালীতে ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র,২৭৭ রাউন্ড গুলি-মাদকসহ গ্রেপ্তার-৫ মহালছড়িতে বজ্রপাতে নিহত এক বৃদ্ধ গোয়ালন্দে নবাগত ডিসি জাহিদুল ইসলাম — “জনসেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

খুব কাছে থেকে দেখা পাহাড়ের রাজনীতির হালচাল

এস চৌধুরী, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি / ৮৪২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

পাহাড়ের মানুষ,অত্যান্ত সরল প্রকৃতির।তবে গাদ্দার বেঈমান,চুবলিকোরদের দু মিনিট ও সময় দিবে না পৃথিবী থেকে বিদায় দিতে। দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতায় এক পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর যোদ্ধাকে নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। তার সাক্ষাৎকারে এই বক্তব্য উঠে এসেছে তাদের আঞ্চলিক দলের রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট।অত্যান্ত ভয়ে ভয়ে জীবনের শংকা রয়েছে তাই কাটছিট করে বক্তব্য দিয়েছেন।তার বক্তব্য তুলে ধরা হলো আমার লেখনীতে।

১৯৯৪ সালে ভারত হতে ১৬দফা প্যাকেজের চুক্তিতে শরণার্থী হিসাবে প্রত্যাবর্তনের পর তৎকালীন পিসিপি নেতাদের জ্বালাময়ী বক্তব্য আমাকে আবেগে উদ্বেলিত করতো। যতদুর মনে পড়ে তখন শুধু পিসিপি নেতাদের বক্তব্য শুনার জন্য আমরা কয়েকজন ছাত্র রিগুলার ক্লাশ কামাই করতাম।

এমনও দিন গেছে পিসিপির কোন মিছিল মিটিং থাকলে সেদিন পাহাড়ী অধ্যুষিত যে কোন স্কুল কলেজ একদম খালি হয়ে যেতো। প্রতিষ্টানগুলির সকল পাহাড়ী ছাত্র ছাত্রীরা সানন্দে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই মিছিলে অংশগ্রহণ করে মিছিল সফল করতো।

পিসিপি নেতাদের দৃঢ়তা দেখে তখন আমি মনে মনে ভাবতাম। আমিও অচিরেই রাজনীতিতে যোগ দেবো কিন্তু ১৯৯৭ চুক্তির পর অরাজক রাজনীতি যোগ হলে আমি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করলাম।

কৃষিকাজে মনোনিবেশ করলেও এখন আমার খুব ইচ্ছে করে। সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে আমার দেখা অতীতের পার্বত্য রাজনীতি নিয়ে কিছু লিখি।

জে এস এস, সংস্কার পন্থী (মানবেন্দ্র লারমা) এক জন সক্রিয় সদস্য রতন জুম্মা জানান একান্ত মানবেন্দ্র লারমার নীতি আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্যই দীর্ঘদিন সংগঠন এর সাথে রয়েছি।

জে এস এস পন্থী (মানবেন্দ্র লারমা) অনিক বাবু জানান পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক নেতারা নীতি গত ভাবে এক জায়গায় পৌঁছাতে না পারলে কখনও পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবেনা।

ইউ পি ডি এফ পন্থী (প্রশীত খীসা) একজন সক্রিয় সদস্য ডাইমন জানান পরিবার পরিজন ছেড়ে পাহাড়ে নিজস্ব স্বকীয়তাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য পড়ে আছি।

আর একজন ইউ পি ডি এফ পরিচালক অলকেশ বাবু একান্ত এক সাক্ষাৎ কারে জানান তোমরা লেখা পড়া শিখেছ,বড় বড় ইন্জিনিয়ার হয়েছ,বড় বড় চেয়ারে বসে আছ,ভাল সরকারি চাকুরী পেয়েছ।আর আমরা মাস্টার্স পাশ করেও ঝাড়ে জঙ্গলে ঘুরতেছি।আমাদের সন্তানেরা আমাদের চিনে না।

ইউ পি ডি এফ এর বিচার বিভাগের প্রধান এডভোকেট কার্তিক বাবু জানান কখন যে স্বাধীনতা আসবে এ নিয়ে সংসয় রহিয়াছে।

জে এস এস এর(সন্তু লারমা) সমীরন বাবু জানান সরকারের শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে গড়ি মসি আরও একধাপ পিছিয়েছে পাহাড়ে আদিবাসী গোষ্ঠীর নিজস্ব সত্বাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রক্রিয়া।

বর্তমান পাহাড়ে ৪টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ও এই ৪টি দলের অনেক নেতাকর্মী আমার ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় আছেন। ৪টি দলের নেতাকর্মীদের নিকট হতে অভয় পেলে আমি আবারো আমার পুর্বেকার লেখার মতন “আমার দেখা পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলোর হালচাল ” বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ