পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ এর মধ্যে এদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আর বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সভ্য জাতি হিসাবে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াবো। আওয়ামী লীগ ছাড়া এদেশে অনেক সরকার ছিল। তারা দেশের জন্য কি করেছে ? তাদের পকেটনীতির কারণে আমার বাবা-মা অশিক্ষিত। শেখ হাসিনার আধুনিক শিক্ষা নীতির কারণে আজ পাহাড়ের ছেলে-মেয়েরা ডাক্তার, জজ, উকিল, ইঞ্জিনিয়ার ও প্রকৌশলী।
তিনি আরো বলেন, নেতা আমরা সবাই, কিন্তু সু-নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা সবার থাকেনা। সু-নেতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম। শুক্রবার দুপুরে বান্দরবান জেলার লামা পৌরসভাস্থ ‘বীর বাহাদুর কানন’ ও ‘তংথমাং রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট’ এর শুভ উদ্ভোধন শেষে মধুঝিরি মাঠে এক জনসভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মেয়র জহিরুল ইসলামের দক্ষতা ও সু-নেতৃত্বের কারণে লামা পৌরসভার তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। আগামীতেও জহিরুল ইসলাম মেয়র নির্বাচিত হলে এ পৌরসভা প্রথম শ্রেনীতে উন্নীত হবে। বর্তমানে মেয়র জহিরুল ইসলামের অক্লান্ত পরিশ্রম ও স্বদিচ্ছায় লামা পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের পাশাপাশি পৌরসভা কার্যালয়ের আশপাশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নান্দনিক কারু কাজে সজ্জিত করে তুলেছে। সকল শ্রেণী ও বয়সের মানুষের একটু হাটাহাটি আর নির্মল অক্সিজেন গ্রহণের জায়গা হয়েছে। বীর বাহাদুর কানন ও তংথমাং রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট পর্যটন শিল্পে যোগ হলো নতুন মাত্রা।
লামা পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলামের সভপতিত্বে ও উপজেলা আওযামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, বান্দরবান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম পিপিএম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবু মুসা ফারুকী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাশ প্রমূখ বিশেষ অতিথি ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে পৌরসভার উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান, বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বিতরণ ও ‘লামার আলো’ কর্তৃক আয়োজিত সংবধর্ণায় গুনীজনদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এম/এস