রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সবুজ সরদার (২৫) নামের এক যুবক। সে গোয়ালন্দ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের দেওয়ান পাড়ার লুৎফর সরদারের ছেলে। গত সোমবার (২৭ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া রেলষ্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সবুজ দীর্ঘদিন ধরে
সৌদি আরবে ছিলেন। কয়েক মাস আগে বাড়ীতে আসেন। পুনরায় সৌদি আরবে যেতে পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ঠিক করতে সোমবার সকালে তিনি ঢাকা যান। ঢাকা থেকে বাড়ী ফিরতে গভীর রাত হয়ে গেলে সে দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্হিত সোহেল নামে তার এক চাচাতো ভাইয়ের দোকানে যায় একসাথে বাড়ী ফিরবে বলে।
এ সময় সেখানে রশিদ নামে তার এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়। তাকে সাথে করে নিয়ে যায় তার সাথে দৌলতদিয়া রেলস্টেশন প্লাটফর্মে পৌঁছলে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা ১০ থেকে ১৫ জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার উপরে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রিকশায় করে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে যাবার সময় আশেপাশের লোকজনের আর্তচিৎকার শুনে পুলিশের মোবাইল ফোর্স এগিয়ে আসে। পরে পুলিশ ও স্হানীয় লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থার আরো অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্মরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে স্হানান্তর করে।
আহত প্রবাসীর মা রোকেয়া বেগম মুঠোফোনে জানান, দুর্বৃত্তরা আমার ছেলেকে মেরে তার কাছে থাকা নগদ দুই লক্ষ টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন, দুইটি স্বর্ণের আংটি, একটি ঘড়ি, পাসপোর্ট, ভিসাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও সৌদি থেকে আনা একটি রেডমি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমার ছেলেকে যারা এভাবে নির্মমভাবে মেরেছে আমি তাদের সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এবিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, খবর পাওয়া মাত্রই থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত প্রবাসী যুবককে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে তার উপর এ নৃশংস হামলা করা হয়েছে। আহত যুবক কিছুটা সুস্থ্য হলে তার সাথে কথা বলে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এম/এস