লামায় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। “পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়। লামা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ ভবন থেকে র্যালীটি শুরু হয়ে লামা বাজার প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার। উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিলকী রাণী দাশ, উপজেলা কৃষি অফিসার রতন কুমার বর্মন, উপজেলা আইসিটি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার সুব্রত দাশ, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সমন্বয়কারী মোঃ মহিউদ্দিন।উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা বলেন, ২০১৩ সালের এ দিনে জাতীয় সংসদে পরিসংখ্যান আইন পাস করা হয়। এর ভিত্তিতে পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আসে। ২০২০ সালে ২৭ ফেব্রæয়ারিকে পরিসংখ্যান দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বিচেনায় ১৯৭৪ সালের ২৬ আগস্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন চারটি পরিসংখ্যান সংস্থাকে এক করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এবার দেশে তৃতীয়বারের মতো পরিসংখ্যান দিবস পালন করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এসময় বলা হত জ্ঞানই শক্তি, আর এখন বলা হয় তথ্যই শক্তি। সময়োপযোগী ও সঠিক পরিসংখ্যানের সাহায্যে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। দেশের পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে সঠিক, সময়োপযোগী এবং মানসম্মত পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা বিবিএসের দায়িত্ব। জনশুমারি, কৃষিশুমারি, অর্থনৈতিক শুমারিসহ বিভিন্ন ধরনের সার্ভে পরিচালনা করে পরিসংখ্যান অধিদপ্তর। হালনাগাদ তথ্য প্রস্তুতে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নেতৃত্বে বিবিএস কাজ করছে।
এম/এস