বান্দরবানের লামায় এক মার্মা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হারগাজা এলাকায় শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লামা হাসপাতালে আনলে বিষয়টি জানা যায়।
লামা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই নারীকে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। লামা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. প্রত্যাশা মল্লিক ভিকটিমের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং প্রয়োজনীয় ফরম পূরণ করে তাকে বান্দরবান ওসিসি’তে নিয়ে যেতে বলেন।
ভিকটিমের মামা বলেন, শুক্রবার দুপুর বাড়িতে পাশের জমিতে তার ভাগিনী শাক তুলতে যায়। এসময় উৎপেতে থাকা ধর্ষক মোঃ কাউছার (৩৮) ভিকটিমকে মুখ চেপে ধরে পাশের পাহাড়ে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষক মারধর করলে ও তার নখের আচঁড় লেগে ভিকটিমের শরীরে ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যায়। ভিকটিম পূর্বে বিবাহিত, কিন্তু তার স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পরপরই ধর্ষক মোঃ কাউছার কে এলাকায় লোকজন মারধর করেছে। তাকে চকরিয়া কোন এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা আইনী বিচার চাই ও ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি। সে লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড হারগাজা ফুটেরঝিরি এলাকার আব্দুল্লাহ এর ছেলে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভিকটিমকে প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা করা হবে। এই ঘটনায় লামা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে।
এম/এস