সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নির্ঘুম রাতজেগে ঘনকুয়াশার মধ্যে শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করে দেশ মাতৃকার সেবায় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর সদস্যগণ সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থেকে গবাদিপশুসহ সকল ধরণের চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযান পরিচলনা করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিতকতায় মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার রিজিয়ন, সেক্টর কমান্ডার, রামু এবং অধিনায়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর বলিষ্ঠ দিক নির্দেশনায় গত ০৯ ফেব্রুয়ারি হতে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা একসপ্তাহ চোরাচালান বিরোধী অভিযানে আবারো ৯৭,৯০,০০০/-(সাতানব্বই লক্ষ নব্বই হাজার) টাকা মূল্যমানের ৮৯টি বার্মিজ গরু আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
সীমান্ত পথে গরু চোরাচালান রোধকল্পে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক কঠোর নজরদারী ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও যেকোন মূল্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) চোরাচালান প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ভবিষ্যতে মাদক ও চোরাচালান দমনে নিয়োজিত থেকে যেকোন আন্তঃ রাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অবৈধ চোরাচালানের ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধিনায়ক জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রেজাউল করিম বলেন, অত্র এলাকায় চোরাচালান কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তিনি বদ্ধপরিকর বলে জানান। যে সকল ব্যক্তিবর্গ এধরণের চোরাচালানী কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এবং সে যেই হোক চিহ্নিত করতঃ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান তিনি আরও জানান সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ বার্মিজ গরু, মাদকদ্রব্য পাচার, অস্ত্র, অবৈধ কাঠ পাচার/পরিবহন, অন্যান্য যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার এবং অত্র এলাকায় যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিজিবি’র এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
এম/এস