মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী সকালে ৩৮ বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলম, পিএসসি, নেতৃত্বে ১৫ জনের বিজিবি জোয়ানরা তিন্দু ইউনিয়নের কাইকা খুমি পাড়া এলাকা অনুমানিক ৫ একর জুড়ে পাহাড়ী জমিতে পপি চাষের সন্ধান পায়। বিজিবি’র টহল টের পেয়ে পপি চাষীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতের বিপুল পরিমান দিনব্যাপী পপিখেত ধংস করতে স্বক্ষম হয়। কাইক খুমি পাড়া তিন্দুমুখ বিজিবি ক্যাম্প থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার পশ্চিম- দক্ষিনের অবস্থান।
অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ৩৮ বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলম, পিএসসি বলেন ,বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত এলাকার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সেনা রিজিয়নের জোন হিসেবে ‘অপারেশন উত্তরণ’ এর আওতায় সেনাবাহিনী কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে। বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ, দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে মাদক নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি এরই ধারাবাহিকতা চলমান রাখা হবে।
তিনি আরো বলেন থানচি উপজেলা গহীন অরন্যে আরও কোন পপি ক্ষেত আছে কিনা সে ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ধ্বংসকৃত ৫ একর জমিতে চাষকৃত পপি প্রক্রিয়াজাত করনের পর আনুমানিক ২৫০ কেজি আফিম উৎপাদিত হতো। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা বলে দাবী করেন বিজিবি’র এই কর্মকর্তা।
এম/এস