কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের গত ২৯-১১২২ ইং তারিখে ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলী সাবেক এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার পর কেন্দ্র ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা দ্বিতীয় অধিবেশনে রৌমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে জীবন বৃত্তান্ত গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় ডাকবাংলাতে প্রার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এতে সভাপতি হিসেবে ১৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ৩৬ জন জীবন বৃত্তান্ত জমাদান করেন। কেন্দ্র ও জেলা নেতারা প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত এবং তাদের রাজনৈতিক অতীত এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে যাচাই-বাছাই শুরু করেন এমন তো অবস্থায় নেতৃবৃন্দ সভাপতি হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সদ্য সাবেক সভাপতি জাকির হোসেনকে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজু আহমেদ খোকার নাম খসড়া করে কমিটি ঘোষণা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন নেতৃবৃন্দের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জাকির হোসেন তিনি বলেন আমার ইচ্ছামত কমিটি দিয়ে এখান থেকে আপনাদের বের হয়ে যেতে হবে না হলে কেন্দ্র ও জেলা আমি কাউকে মানবো না এখানে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। এ সময় হট্টগোল হলে শাহজাহান খানের পিএস সহ বেশ কিছু নেতা কর্মী জাকির হোসেনের সমর্থক কর্তৃক আহত হন। তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম প্রস্তাব করেন সাখাওয়াত হোসেন সবুজের নাম যিনি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি। এই প্রস্তাবকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য শাহজাহান খান এমপি প্রত্যাখ্যান করে বলেন এরকম যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা সম্ভব নয় আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে উক্ত বিষয়গুলো আলোচনা করে কমিটি ঘোষণা করবো। পরবর্তীতে কেন্দ্র ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা রৌমারী ত্যাগ করেন।
এম/এস